Sylhet 8:33 pm, Monday, 23 December 2024

অবৈধভাবে ইয়াবার ব্যবসায়ী ডাঃ ইয়াকুল কর্তৃক এক যুবককে পিঠিয়ে আহত,অভিযোগ দায়ের

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের চিনাকান্দির ক্যাম্পেরবাজারে ফার্মেসী ব্যবসার আড়ালে অবৈধভাবে চোরাইপথে দেশে আমদানি করে ভারতীয় মদ,ইয়াবা,হিরোইনের পাশাপাশি অস্ত্রব্যবসার মাধ্যমে অল্পদিনে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে গাড়ি বাড়ির মালিক বনেছেন ডাঃ ইয়াকূল ইসলাম নামে এক চোরাকারবারী। এছাড়াও এলাকার গরীব দিনমুজুর ছেলেদের দিয়ে সীমান্তের ওপাড়ে পাঠিয়ে রাতের আধাঁরে এই সমস্ত অবৈধ অপকর্মে ব্যবহার করা হচ্ছে। তার কথা না শুনলে ঐ সমস্ত গরীব ছেলেদের উপর চালানো হতো অমানসিক নির্যাতনের স্ট্রীমরোলাম।

এমন একটি হৃদয়বিধারক কিশোর নির্যাতনের ঘটনায় তার পিতা দিনমুজুর চিনাাকন্দি গ্রামের মোঃ আলতাব মিয়া ইয়াবাকারবারী ডাঃ ইয়াকুলের বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার(২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার ও সেনাক্যাম্পে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও ধনপুর ইউপির শিলডোয়ার গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা তাজ্জদ আলীর ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী ডাঃ ইয়াকুল ইসলাম। তিনি ধনপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এবং সম্প্রতি বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সীমান্ত এলাকার চোরকারবারীদের গডফাদার রফিকুল ইসলাম তাুলুকদারের আর্শীবাদপুষ্ট এই ইয়াবা কারবারী ডাঃ ইয়াকুল ইসলাম গত কয়েকমাসে চিনাকান্দি সীমান্ত দিয়ে রাতের আধাঁরে অবৈধভাবে ভারত থেকে ভারতীয় মদ,ইয়াবা ও অস্ত্র দেশের ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন জায়গাতে সাপ্লাই দিয়ে অল্পদিনে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে বিশাল অট্রালিকা ও দামি গাড়ি কিনে জিরো থেকে হিরো বনেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

এই ইয়াবাকারবারী ডাঃ ইয়াকুল ইসলাম চিনাকান্দির ক্যাম্পের বাজারে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ফার্মেসীকে পূজি করে চিনাকান্তি সীমান্ত দিয়ে সে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে এবং ভারত থেকে চোরাইভাবে প্রতিরাতে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা ও অস্ত্র আমদানী করে দেশের ভেতরে আনতে এলাকার কিছু গরীব কমবয়সী ছেলেদের কম মুজুরী দিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে এই সমস্ত অবৈধ কাজে। ফলে ঐ সমস্ত কিশোররা যেমন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

অভিযোগে আরো জানাযায় ইয়াবা ব্যবসায়ী ডাঃ ইয়াকুল ইসলাম গত কয়েকমাস পূর্বে ও যেখানে তিনি দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জড়িত ছিলেন এই কয়েকমাসের ব্যবদানে তিনি অবৈধ মদ,ইয়াবা ও অস্ত্রের ব্যবসা করে ইতিমধ্যে শিলডোয়ার গ্রামে দুইকোটি টাকা খরচ করে আলিসান বাড়ি নির্মাণ করেন এবং প্রায় ৫০ লাখ টাকা দিয়ে ঢাকা মেট্রো-ম ৮১৩ নম্বরে আরব অট্রো এসি গাড়ি ক্রয় করেন। তাছাড়া ক্যাম্পের বাজারে স্বর্ণা ফার্মেসী খুলে খুবই দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করছেন। এলাকার কেহ তার অবৈধ ভারতীয় মদ,ইয়াবা ও অস্ত্র ব্যবসার প্রতিবাদ করলে তাদের উপর চালানো হয় অত্যাচারের স্ট্রীমরোলার। সে চিনাকান্দি সীমান্ত দিয়ে স্থানীয় পুলিশ ও বিজিবিকে ম্যানেজ করে প্রতিরাতে ভারত থেকে অবৈধভাবে মরণ নাশক ইয়াবা,মদ ও অস্ত্র দেশে এনে অল্পদিনে শতকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মোঃ আলতাব মিয়া সাংবাদিকদেও বলেন,আমি একজনগরীব দিনমুজুর হওয়ার সুবাদে চোরকারবারী ডাঃ ইয়াকুল ইসলাম আমার ছেলে রুমান মিয়া(১৫)কে দিয়ে ঐ সমস্ত অবৈধ কাজে সহযোগিতা কার প্রস্তাব দেয়। এতে আমি এবং আামর ছেলে রাজি না হওয়াতে মাদক সম্রাট ডাঃ ইয়াকুল মিয়া আমার অবুঝ এই সন্তানটিকে কয়েকবার পিঠিয়ে রক্তাক্ত করেছে।

গত ১৭ই সেপ্টেবর আমার ছেলে চিনাাকন্দি সীমান্তবর্তী ভারত থেকে অবৈধভাবে এই সমস্ত মরণ নাশক ইয়াবা,মদ ও অস্ত্র আনার জন্য নির্দেশ প্রদান করলে আমার এই অবুঝ শিশুটি যেতে পারবে না বলে জানালে ইয়াকুল আমার ছেলে রুমান মিয়া জিগাতলা বাজারে শ্রমিকের কাজ করার সময় তাকে ধরে এনে লাঠি দিয়ে বেদড়ক পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মারার কারণ জানতে চাইলে ইয়াকুল আমাকে ও মারতে আসে। তাছাড়াও সন্ত্রাসী ডাঃ ইয়াকুল এলাকায় প্রচার করে স্থানীয় পুলিশ ও বিজিবি নাকি তার তার প্রতি আনুগত্য এই দুটি বাহিনীকে ম্যানেজ করেই এমন অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। অবিলম্বে এই ইয়াবা ব্যবসায়ী ডাঃ ইয়াকুলকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির পাশাপাশি তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই ইয়াবা ব্যবসার সাথে কারা কারা জড়িত সব বেরিয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ডাঃ ইয়াকুলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংবাদকর্মীদের অকথ্যা ভাষায় গালিগালাজ করে ফোনের লাইন কেটে দেন।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জে পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান,বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রমানিকত হলো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
২৪.০৯.২০২৪

About Author Information

Sylhet Journal

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাতকে রেলওয়ের কংক্রিট স্লিপার প্লান্টে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

অবৈধভাবে ইয়াবার ব্যবসায়ী ডাঃ ইয়াকুল কর্তৃক এক যুবককে পিঠিয়ে আহত,অভিযোগ দায়ের

প্রকাশের সময় : 01:31:36 pm, Tuesday, 24 September 2024

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের চিনাকান্দির ক্যাম্পেরবাজারে ফার্মেসী ব্যবসার আড়ালে অবৈধভাবে চোরাইপথে দেশে আমদানি করে ভারতীয় মদ,ইয়াবা,হিরোইনের পাশাপাশি অস্ত্রব্যবসার মাধ্যমে অল্পদিনে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে গাড়ি বাড়ির মালিক বনেছেন ডাঃ ইয়াকূল ইসলাম নামে এক চোরাকারবারী। এছাড়াও এলাকার গরীব দিনমুজুর ছেলেদের দিয়ে সীমান্তের ওপাড়ে পাঠিয়ে রাতের আধাঁরে এই সমস্ত অবৈধ অপকর্মে ব্যবহার করা হচ্ছে। তার কথা না শুনলে ঐ সমস্ত গরীব ছেলেদের উপর চালানো হতো অমানসিক নির্যাতনের স্ট্রীমরোলাম।

এমন একটি হৃদয়বিধারক কিশোর নির্যাতনের ঘটনায় তার পিতা দিনমুজুর চিনাাকন্দি গ্রামের মোঃ আলতাব মিয়া ইয়াবাকারবারী ডাঃ ইয়াকুলের বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার(২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার ও সেনাক্যাম্পে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও ধনপুর ইউপির শিলডোয়ার গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা তাজ্জদ আলীর ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী ডাঃ ইয়াকুল ইসলাম। তিনি ধনপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এবং সম্প্রতি বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সীমান্ত এলাকার চোরকারবারীদের গডফাদার রফিকুল ইসলাম তাুলুকদারের আর্শীবাদপুষ্ট এই ইয়াবা কারবারী ডাঃ ইয়াকুল ইসলাম গত কয়েকমাসে চিনাকান্দি সীমান্ত দিয়ে রাতের আধাঁরে অবৈধভাবে ভারত থেকে ভারতীয় মদ,ইয়াবা ও অস্ত্র দেশের ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন জায়গাতে সাপ্লাই দিয়ে অল্পদিনে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে বিশাল অট্রালিকা ও দামি গাড়ি কিনে জিরো থেকে হিরো বনেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

এই ইয়াবাকারবারী ডাঃ ইয়াকুল ইসলাম চিনাকান্দির ক্যাম্পের বাজারে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ফার্মেসীকে পূজি করে চিনাকান্তি সীমান্ত দিয়ে সে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে এবং ভারত থেকে চোরাইভাবে প্রতিরাতে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা ও অস্ত্র আমদানী করে দেশের ভেতরে আনতে এলাকার কিছু গরীব কমবয়সী ছেলেদের কম মুজুরী দিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে এই সমস্ত অবৈধ কাজে। ফলে ঐ সমস্ত কিশোররা যেমন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

অভিযোগে আরো জানাযায় ইয়াবা ব্যবসায়ী ডাঃ ইয়াকুল ইসলাম গত কয়েকমাস পূর্বে ও যেখানে তিনি দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জড়িত ছিলেন এই কয়েকমাসের ব্যবদানে তিনি অবৈধ মদ,ইয়াবা ও অস্ত্রের ব্যবসা করে ইতিমধ্যে শিলডোয়ার গ্রামে দুইকোটি টাকা খরচ করে আলিসান বাড়ি নির্মাণ করেন এবং প্রায় ৫০ লাখ টাকা দিয়ে ঢাকা মেট্রো-ম ৮১৩ নম্বরে আরব অট্রো এসি গাড়ি ক্রয় করেন। তাছাড়া ক্যাম্পের বাজারে স্বর্ণা ফার্মেসী খুলে খুবই দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করছেন। এলাকার কেহ তার অবৈধ ভারতীয় মদ,ইয়াবা ও অস্ত্র ব্যবসার প্রতিবাদ করলে তাদের উপর চালানো হয় অত্যাচারের স্ট্রীমরোলার। সে চিনাকান্দি সীমান্ত দিয়ে স্থানীয় পুলিশ ও বিজিবিকে ম্যানেজ করে প্রতিরাতে ভারত থেকে অবৈধভাবে মরণ নাশক ইয়াবা,মদ ও অস্ত্র দেশে এনে অল্পদিনে শতকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মোঃ আলতাব মিয়া সাংবাদিকদেও বলেন,আমি একজনগরীব দিনমুজুর হওয়ার সুবাদে চোরকারবারী ডাঃ ইয়াকুল ইসলাম আমার ছেলে রুমান মিয়া(১৫)কে দিয়ে ঐ সমস্ত অবৈধ কাজে সহযোগিতা কার প্রস্তাব দেয়। এতে আমি এবং আামর ছেলে রাজি না হওয়াতে মাদক সম্রাট ডাঃ ইয়াকুল মিয়া আমার অবুঝ এই সন্তানটিকে কয়েকবার পিঠিয়ে রক্তাক্ত করেছে।

গত ১৭ই সেপ্টেবর আমার ছেলে চিনাাকন্দি সীমান্তবর্তী ভারত থেকে অবৈধভাবে এই সমস্ত মরণ নাশক ইয়াবা,মদ ও অস্ত্র আনার জন্য নির্দেশ প্রদান করলে আমার এই অবুঝ শিশুটি যেতে পারবে না বলে জানালে ইয়াকুল আমার ছেলে রুমান মিয়া জিগাতলা বাজারে শ্রমিকের কাজ করার সময় তাকে ধরে এনে লাঠি দিয়ে বেদড়ক পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মারার কারণ জানতে চাইলে ইয়াকুল আমাকে ও মারতে আসে। তাছাড়াও সন্ত্রাসী ডাঃ ইয়াকুল এলাকায় প্রচার করে স্থানীয় পুলিশ ও বিজিবি নাকি তার তার প্রতি আনুগত্য এই দুটি বাহিনীকে ম্যানেজ করেই এমন অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। অবিলম্বে এই ইয়াবা ব্যবসায়ী ডাঃ ইয়াকুলকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির পাশাপাশি তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই ইয়াবা ব্যবসার সাথে কারা কারা জড়িত সব বেরিয়ে আসবে বলে তিনি মনে করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ডাঃ ইয়াকুলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংবাদকর্মীদের অকথ্যা ভাষায় গালিগালাজ করে ফোনের লাইন কেটে দেন।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জে পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান,বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রমানিকত হলো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
২৪.০৯.২০২৪