Sylhet 7:00 pm, Monday, 23 December 2024

আইনজীবী গ্রাহকের মামলায় মহিলাসহ দিরাই’র তিন বীমা কর্মকর্তা কারাগারে

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে প্রতারণা মামলায় জীবন বীমা নামে পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির দিরাই শাখার ইনচার্জ মো. জামাল হোসেনসহ ৩ কর্মকর্তাকে জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীরা হলেন, কোম্পানির কর্মকর্তা মোছা. হাজেরা বেগম ও গোপেশ পাল। গতকাল বৃহস্পতিবার আসামিরা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত- এর বিজ্ঞ বিচারক বেগম ইসরাত জাহান জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুন কোম্পানির ইনচার্জ মো. জামাল হোসেনহ এই ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন, ভুক্তভোগী গ্রাহক এডভোকেট ওবায়দুর রহমান চৌধুরী। পরে ১৩ জুন সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে দিরাই থানায় ৪০৬/৪২০ ধারা পেনাল কোড অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দিরাই থানার এস আই অনুজ কুমার দাস। অভিযোগে বলা হয়, গত ২০২২ সালের ২৫ জুলাই ১২ বছর মেয়াদী একটি এফডিআর এর জন্য এক কালীন নগদ ১ লাখ টাকা জমা দেন গ্রাহক। শাখা ইনচার্জ মো. জামাল হোসেন স্বাক্ষর ও সীল দেয়া একটি রসিদ দিয়ে গ্রাহকের নামে ১৫-৩০ দিনের মধ্যে বীমা কোম্পানি থেকে ফাইল তৈরি হয়ে আসবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু প্রায় ১ বছর পর, এককালীন মোট ১ লাখ টাকার বিপরীতে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ১ লাখ ১ হাজার ৩৩৭ টাকা জমা করা ফাইল (টাকা জমা দেয়ার বই) প্রদান করে বীমা কর্মকর্তা। ভুয়া কাগজ এবং স্বাক্ষর জাল করে ফাইল প্রদান করায় গ্রাহক এডভোকেট ওয়ায়দুর রহমান চৌধুরীর সন্দেহ হলে তিনি তাদের সাথে ঐ বিষয়গুলো নিয়ে বসতে চাইলে বীমা কোম্পানীর কর্মকর্তারা টালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। পরে ভুক্তভোগী গ্রাহক সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উল্লেখিত আসামীগণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

About Author Information

SYLHET JOURNAL

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাতকে রেলওয়ের কংক্রিট স্লিপার প্লান্টে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

আইনজীবী গ্রাহকের মামলায় মহিলাসহ দিরাই’র তিন বীমা কর্মকর্তা কারাগারে

প্রকাশের সময় : 03:56:55 pm, Thursday, 4 July 2024

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে প্রতারণা মামলায় জীবন বীমা নামে পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির দিরাই শাখার ইনচার্জ মো. জামাল হোসেনসহ ৩ কর্মকর্তাকে জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীরা হলেন, কোম্পানির কর্মকর্তা মোছা. হাজেরা বেগম ও গোপেশ পাল। গতকাল বৃহস্পতিবার আসামিরা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত- এর বিজ্ঞ বিচারক বেগম ইসরাত জাহান জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুন কোম্পানির ইনচার্জ মো. জামাল হোসেনহ এই ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন, ভুক্তভোগী গ্রাহক এডভোকেট ওবায়দুর রহমান চৌধুরী। পরে ১৩ জুন সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে দিরাই থানায় ৪০৬/৪২০ ধারা পেনাল কোড অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দিরাই থানার এস আই অনুজ কুমার দাস। অভিযোগে বলা হয়, গত ২০২২ সালের ২৫ জুলাই ১২ বছর মেয়াদী একটি এফডিআর এর জন্য এক কালীন নগদ ১ লাখ টাকা জমা দেন গ্রাহক। শাখা ইনচার্জ মো. জামাল হোসেন স্বাক্ষর ও সীল দেয়া একটি রসিদ দিয়ে গ্রাহকের নামে ১৫-৩০ দিনের মধ্যে বীমা কোম্পানি থেকে ফাইল তৈরি হয়ে আসবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু প্রায় ১ বছর পর, এককালীন মোট ১ লাখ টাকার বিপরীতে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ১ লাখ ১ হাজার ৩৩৭ টাকা জমা করা ফাইল (টাকা জমা দেয়ার বই) প্রদান করে বীমা কর্মকর্তা। ভুয়া কাগজ এবং স্বাক্ষর জাল করে ফাইল প্রদান করায় গ্রাহক এডভোকেট ওয়ায়দুর রহমান চৌধুরীর সন্দেহ হলে তিনি তাদের সাথে ঐ বিষয়গুলো নিয়ে বসতে চাইলে বীমা কোম্পানীর কর্মকর্তারা টালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। পরে ভুক্তভোগী গ্রাহক সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উল্লেখিত আসামীগণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।