Sylhet 7:09 pm, Monday, 23 December 2024

একজন মানবিক ডাক্তার সৈয়দ নাইম আহমদ আফফান

হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ

চিকিৎসা সেবা একটি মহান পেশা। মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করলেও সবাই ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে সুনাম কিংবা সুখ্যাতি বয়ে আনতে পারে না। কেউ কেউ মানব ধর্ম কিংবা মানবিকতা প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছাগুলোকেও জলাঞ্জলি দিয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে ভালো মানুষ হয়ে ওঠা। কিন্তু সেটা ক’জন পারে। অনেকে তার নিজের কর্মগুনে অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যান। নামের পেছনে নানা উপাধির তকমাও পেয়ে থাকেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। যার ফলে রাতারাতি বিখ্যাতও হয়ে যান তারা।

তেমনি আজ কথা বলব, একজন বি ডি এস চিকিৎসকের কথা। যিনি এই পেশায় থেকেও মানব সেবার ব্রত নিয়ে অভিজাত শহরাঞ্চল ছেড়ে এসেছিলেন গ্রামাঞ্চলে। তার লক্ষ্য ছিল একটাই-সাধারণ মানুষের মাঝে সেবা পৌঁছে দেওয়া। যা তিনি আজ অনেকাংশেই এর বাস্তব রূপও দিয়েছেন নিজ কর্মগুনে। সাধারণ মানুষের মাঝে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। হয়েছেন সবার সেরা, সেরাদের সেরা। বেশ কয়েক বছর যাবৎ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর বাজারে ডক্টরস ডেন্টাল সার্জারী স্বাস্থসেবা দেওয়ার পাশাপাশি মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেও অনেককেই সহযোগিতা করে থাকেন এই গুনী চিকিৎসক। ধনী-গরীব, নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবার মধ্যে তিনি হয়ে উঠেছেন বিশ্বস্ত বন্ধু। তাই তো রাতারাতি সাধারণ মানুষের কাছে তিনি মানবিক ডাক্তার বলেও গোটা সুনামগঞ্জ জেলায় জগন্নাথপুর উপজেলার একটা পরিচিতি পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, তিনি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিডিএস পাস করেন।২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইন্টার্নি শেষ করেন।২০১৯ সালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পোস্ট গ্রাজুয়েশন ট্রেনিং (পিজিটি)সম্পন্ন করেন।২০১৯ সালের আগস্টে সিলেট সুবিদবাজারে হেভেন ডেন্টাল সার্জারী প্রতিষ্ঠান এ এবং একই বছর সৈয়দপুর বাজারে ডক্টরস ডেন্টাল সার্জারী তে চিফ কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন।

এখানকার ছিন্নমূল হতদরিদ্র মানুষের আস্থার প্রতীক এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল সেটি আবার একটি বিশ্বাসের জায়গায় রূপ দিয়েছেন তিনি। রোগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার, স্বাস্থ্য সেবায় গুণগত পরিবর্তন আনা এবং সেবা প্রার্থীদের আন্তরিকতা দেখানোর মধ্য দিয়ে একটি বিশ্বস্ততার জায়গায় এনে দিয়েছেন। তিনি ১৯৯৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী জগন্নাথপুর সৈয়দপুর এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা:সৈয়দ মহিবুর রহমান মাতা:সৈয়দা নাসরিন বেগম সন্তান।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সাবেক কর্মকর্তা ডা: মধু সুধন ধর বলেন, ভালো সনদ, বড় ডিগ্রি থাকলেই বড় চিকিৎসক কিংবা ভালো চিকিৎসক হওয়া যায় না। একজন ভালো চিকিৎসক হতে গেলে একজন মানুষের মধ্যে অনেকগুলো গুন বিদ্যমান থাকতে হয়। যা ডা:নাইম আহমদ এর মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে।

সামিয়া নামের এক শিশুর মা বলেন, আমি আমার সন্তানকে নিয়মিত তার কাছে চিকিৎসা নেই। তিনি খুব ভালো মানুষ এবং একজন মানবিক মানুষ। তার সঙ্গে কথা বললেও রোগীর অর্ধেক রোগ সেরে যায়। আমরা তার মঙ্গল কামনা করি।

ডা: সৈয়দ নাইম আহমদ( আফফান) বি ডি এস সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ।পিজিটি:ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারী।বিএমডিসি রেজিষ্ট্রেশন নং-৯৭৯৩ মুুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন বলেন, বরাবরের মতোই নিঃস্বার্থভাবে সাধারণ মানুষের আমৃত্যু সেবা করতে চাই। গরীবদেরকে সেবা ও সহযোগিতা করি, ভবিষ্যতেও করতে চাই। এতে আমার ভালো লাগে। মানব সেবাই হচ্ছে আমার মূল লক্ষ্য। তাছাড়া সকল ধর্মও তাই উৎসাহিত করে। কিন্তু আমি এসব স্থানে থেকে সেবার ব্রত নিয়ে তাদের পাশে সামর্থের সবটুকু দিয়ে থাকার চেষ্টা করি।

উল্লেখ্য, এই চিকিৎসক ব্যক্তি উদ্যোগে অনেক গরীব ও দুস্থ রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া এবং ব্যক্তিগত খরচে তাদের ওষুধ দিয়ে থাকেন। তিনি ব্যক্তিজীবনে একজন সুখী মানুষ। সদা হাস্যোজ্জ্বল ও সদালাপী একজন মানুষ তিনি। এর ফলেই তিনি গোটা জগন্নাথপুর উপজেলাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে একজন মানবিক ডাক্তার হিসেবে বেশ সুখ্যাতি পেয়েছেন।”

About Author Information

Sylhet Journal

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাতকে রেলওয়ের কংক্রিট স্লিপার প্লান্টে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

একজন মানবিক ডাক্তার সৈয়দ নাইম আহমদ আফফান

প্রকাশের সময় : 11:14:33 am, Wednesday, 20 November 2024

হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ

চিকিৎসা সেবা একটি মহান পেশা। মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করলেও সবাই ব্যক্তি ও পেশাগত জীবনে সুনাম কিংবা সুখ্যাতি বয়ে আনতে পারে না। কেউ কেউ মানব ধর্ম কিংবা মানবিকতা প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছাগুলোকেও জলাঞ্জলি দিয়েছেন। কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে ভালো মানুষ হয়ে ওঠা। কিন্তু সেটা ক’জন পারে। অনেকে তার নিজের কর্মগুনে অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যান। নামের পেছনে নানা উপাধির তকমাও পেয়ে থাকেন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। যার ফলে রাতারাতি বিখ্যাতও হয়ে যান তারা।

তেমনি আজ কথা বলব, একজন বি ডি এস চিকিৎসকের কথা। যিনি এই পেশায় থেকেও মানব সেবার ব্রত নিয়ে অভিজাত শহরাঞ্চল ছেড়ে এসেছিলেন গ্রামাঞ্চলে। তার লক্ষ্য ছিল একটাই-সাধারণ মানুষের মাঝে সেবা পৌঁছে দেওয়া। যা তিনি আজ অনেকাংশেই এর বাস্তব রূপও দিয়েছেন নিজ কর্মগুনে। সাধারণ মানুষের মাঝে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। হয়েছেন সবার সেরা, সেরাদের সেরা। বেশ কয়েক বছর যাবৎ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর বাজারে ডক্টরস ডেন্টাল সার্জারী স্বাস্থসেবা দেওয়ার পাশাপাশি মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেও অনেককেই সহযোগিতা করে থাকেন এই গুনী চিকিৎসক। ধনী-গরীব, নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবার মধ্যে তিনি হয়ে উঠেছেন বিশ্বস্ত বন্ধু। তাই তো রাতারাতি সাধারণ মানুষের কাছে তিনি মানবিক ডাক্তার বলেও গোটা সুনামগঞ্জ জেলায় জগন্নাথপুর উপজেলার একটা পরিচিতি পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, তিনি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিডিএস পাস করেন।২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইন্টার্নি শেষ করেন।২০১৯ সালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পোস্ট গ্রাজুয়েশন ট্রেনিং (পিজিটি)সম্পন্ন করেন।২০১৯ সালের আগস্টে সিলেট সুবিদবাজারে হেভেন ডেন্টাল সার্জারী প্রতিষ্ঠান এ এবং একই বছর সৈয়দপুর বাজারে ডক্টরস ডেন্টাল সার্জারী তে চিফ কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন।

এখানকার ছিন্নমূল হতদরিদ্র মানুষের আস্থার প্রতীক এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল সেটি আবার একটি বিশ্বাসের জায়গায় রূপ দিয়েছেন তিনি। রোগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার, স্বাস্থ্য সেবায় গুণগত পরিবর্তন আনা এবং সেবা প্রার্থীদের আন্তরিকতা দেখানোর মধ্য দিয়ে একটি বিশ্বস্ততার জায়গায় এনে দিয়েছেন। তিনি ১৯৯৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী জগন্নাথপুর সৈয়দপুর এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা:সৈয়দ মহিবুর রহমান মাতা:সৈয়দা নাসরিন বেগম সন্তান।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সাবেক কর্মকর্তা ডা: মধু সুধন ধর বলেন, ভালো সনদ, বড় ডিগ্রি থাকলেই বড় চিকিৎসক কিংবা ভালো চিকিৎসক হওয়া যায় না। একজন ভালো চিকিৎসক হতে গেলে একজন মানুষের মধ্যে অনেকগুলো গুন বিদ্যমান থাকতে হয়। যা ডা:নাইম আহমদ এর মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে।

সামিয়া নামের এক শিশুর মা বলেন, আমি আমার সন্তানকে নিয়মিত তার কাছে চিকিৎসা নেই। তিনি খুব ভালো মানুষ এবং একজন মানবিক মানুষ। তার সঙ্গে কথা বললেও রোগীর অর্ধেক রোগ সেরে যায়। আমরা তার মঙ্গল কামনা করি।

ডা: সৈয়দ নাইম আহমদ( আফফান) বি ডি এস সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ।পিজিটি:ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারী।বিএমডিসি রেজিষ্ট্রেশন নং-৯৭৯৩ মুুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন বলেন, বরাবরের মতোই নিঃস্বার্থভাবে সাধারণ মানুষের আমৃত্যু সেবা করতে চাই। গরীবদেরকে সেবা ও সহযোগিতা করি, ভবিষ্যতেও করতে চাই। এতে আমার ভালো লাগে। মানব সেবাই হচ্ছে আমার মূল লক্ষ্য। তাছাড়া সকল ধর্মও তাই উৎসাহিত করে। কিন্তু আমি এসব স্থানে থেকে সেবার ব্রত নিয়ে তাদের পাশে সামর্থের সবটুকু দিয়ে থাকার চেষ্টা করি।

উল্লেখ্য, এই চিকিৎসক ব্যক্তি উদ্যোগে অনেক গরীব ও দুস্থ রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া এবং ব্যক্তিগত খরচে তাদের ওষুধ দিয়ে থাকেন। তিনি ব্যক্তিজীবনে একজন সুখী মানুষ। সদা হাস্যোজ্জ্বল ও সদালাপী একজন মানুষ তিনি। এর ফলেই তিনি গোটা জগন্নাথপুর উপজেলাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে একজন মানবিক ডাক্তার হিসেবে বেশ সুখ্যাতি পেয়েছেন।”