মোঃ ইদু খান স্টাফ রিপোর্টার:
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার কৃষ্ণপুরে ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কৃষ্ণপুর বাজারে মো. কায়েস মিয়া ও মো. শুক্কর আলীর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার কৃষি কমিটি গঠন নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় দুপক্ষ। এতে উভয়পক্ষই লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাতে শুক্কর আলী বল্লমের আঘাতে বাম পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তাছাড়াও উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হন। আঘাতপ্রাপ্তরা খালিয়াজুরী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ভর্তি হন। তবে দুজনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শুক্কর আলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
আহত ব্যক্তিরা হলেন- কৃষ্ণপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে হাসাইন (১৯) ও ফাহিম মিয়া (১৫), সোহাগ মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (১৬), মহসিন মিয়ার ছেলে হাসিম (১৫), মৃত কনা মিয়ার ছেলে ফজল আমিন (৩৫), আক্কল আলীর ছেলে শুক্কর আলী (৪২), আ. হাসিমের ছেলে মো. রুবেল মিয়া (৩২) এবং মতিউর রহমানের স্ত্রী নাপিয়া বেগম (৩৫)।
এ বিষয়ে আহত শুক্কর আলী বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত নই। হঠাৎ করে কায়েস মিয়া তার লোকজন নিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে আক্রমণ করে এবং আমার লোকজনকে মারধর ও বাড়িঘর ভাংচুর করে।
অপরপক্ষের মো. কায়েস মিয়া জানায়, কৃষি কমিটি গঠন করতে দুপক্ষের বাকবিতণ্ডার জেরে এমন সংঘর্ষ হয়েছে। তবে উভয়পক্ষই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
খালিয়াজুরী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. এনামুল হক ছোটন বলেন, ছোট একটি বিষয় নিয়ে এমন ঘটনা দুঃখজনক।
এ বিষয়ে খালিয়াজুরী বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মাহবুবুর রহমান কেস্ট জানান, এমন একটি ঘটনা শুনেছি। দলের অন্যদের সাথে কথা বলব, যাতে এমন ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে এবং স্থানীয়ভাবে বসে মীমাংসা করে দেব।
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মকবুল হোসেন দৈনিক সকালের সময়কে জানান, হাসপাতালে আহত রোগীদের দেখতে গিয়েছিলাম। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।