জগন্নাথপুরের পল্লীতে রাতের আধাঁরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাদের অতর্কিত হামলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর অন্যতম নেতা তাহেম(২৬) ও মিল্লাত(২৪) গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর- শাহারপাড়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত সৈয়দপুর হাড়িকোনো গ্রাম নিবাসী আব্দুল মান্নান এর ছেলে মোঃ তাহেম মিয়া(২৬) ও বুধরাইল গ্রাম নিবাসী আশশাই খান এর ছেলে মিল্লাত খান(২৪) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর এই দুই নেতা গতকাল ২৮শে এপ্রিল রোজ সোমবার দিবাগত রাত প্রায় ১২ঘটিকার সময় সৈয়দপুর বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে মাছ শিকার করছিলেন। এই সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের বিভিন্ন শাখায় পদধারী বৈষম্য বিরোধী বিভিন্ন মামলার আসামী সৈয়দপুর এলাকার বাসিন্দা এহসান ,দুলন, তায়েফ, জিবান, আসাদুর, ওলিউর, জুনু,রেজুয়ান,তিশান সহ আরো কয়েকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মোঃ তাহেম মিয়া (২৬) ও মিল্লাত খান (২৪) কে গুরুতর আহত করেছে। আহতদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। তৎক্ষনাৎ স্থানীয়রা ও আহতদের পরিবার এর লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। আহতরা বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এই সংবাদ পেয়ে জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ওসি) জয়নাল হোসেন ও এসআই রিফাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তাহেম এর মাথায় মূখে ও মিল্লাত এর মাথায় এবং পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আহতদের জরুরী ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আহতদের বরাত দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি বলেন, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এলাকার দুস্কতিকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত সংঘটন ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদধারী নেতারা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মামলার এই আসামীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাহেম ও মিল্লাতকে গুরুতর আহত করেছে। আহতরা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোরদাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল হোসেন মুঠোফোনে আলাপকালে বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।