হুমায়ূন কবীর ফরীদি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
জগন্নাথপুরে ৩৩ নং আটঘর সরকারি প্রাথমিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা "ভাষা রায়"এর উপর শ্রেণী কক্ষে হামলার প্রতিবাদে প্রাথমিক শিক্ষক পরিবার এর আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ৩৩ নং আটঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা "ভাষা রায়" এর উপর ক্লাস চলাকালীন সময়ে শ্রেণী কক্ষে স্থানীয় ব্যক্তি লায়েক কর্তৃক ন্যাক্কারজনক হামলা ও শারীরিক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক পরিবার এর ব্যানারে ৩১ শে আগষ্ট জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক আতাহার উদ্দিন, শিক্ষক রূপক কান্তী দে, শিক্ষক রজত কান্তী দাস, শিক্ষক আলমগীর হোসেন, শিক্ষিকা সালেহা পারভীন, শিক্ষিকা ভাষা রায় এর স্বামী জয় চৌধুরী, শিক্ষক নূরুল হক,শিক্ষক শাহজাহান সিরাজ, হামলার শিকার শিক্ষিকা ভাষা রায় ও শিক্ষিকা পুস্পিতা রানী প্রমূখ। এসময় উপজেলার সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা বৃন্দ সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে শিক্ষিকা ভাষা রায় উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবং হামলাকারী সন্ত্রাসী লায়েক খাঁনকে ছব্বিশ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোরদাবী জানিয়েছেন। এবং এই সন্ত্রাসীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেছেন। অন্যথায় তাঁরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দিবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে হামলার শিকার শিক্ষিকা ভাষা রায় সহ শিক্ষক প্রতিনিধিরা সন্ত্রাসী লায়েক খাঁন এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল-বশিরুল ইসলাম নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিগত ২৯ শে আগষ্ট সকাল প্রায় সাড়ে দশ ঘটিকার সময় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ৩৩ নং আটঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ভাষা রায় প্রথম শ্রেণীর কক্ষে পাঠদান করছিলেন। এই সময় জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত আটঘর গ্রাম নিবাসী তোফাজল খান এর ছেলে লায়েক খান এই বিদ্যালয় গিয়ে এই শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে তার ছেলেকে ক্লাস থেকে বের করার কারন জানতে চেয়ে শিক্ষিকা ভাষা রায় উপর চড়াও হন।এবং অকথ্য ভাষায় কথাবার্তা বলার পাশাপাশি শিক্ষিকাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন। শিক্ষিকার আর্তচিৎকারে অন্য শিক্ষকগণ এগিয়ে এসে তাঁকে লায়েক খান এর হামলা থেকে রক্ষা করেন। এ বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসা হওয়ার কথা থাকলেও সমাধা হয়নি।