হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বেদখল হওয়া জায়গা ৩৭ বছর পর উদ্ধার করে সীমানা পিলার বসানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে সহকারী কমিশনার ভূমি রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞা উপস্থিত থেকে বেদখল হওয়া ভূমি সীমানা চিহ্নিত করে খুঁটি বসান। এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষর্থী,অভিভাবক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ১৯৭৯ সালে জগন্নাথপুর গ্রামের শিক্ষানুরাগী ধরনী চক্রবর্তীর দানকরা ভূমিতে জগন্নাথপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৬ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয় করন হয়। বিদ্যালয়ের ৪৬ শতাংশ জায়গার মধ্যে ১৬ শতাংশ জমি রফিকুল হক নামে জগন্নাথপুর গ্রামের এক ধনাঢ্য প্রভাব শালী ব্যক্তি১৯৮৭ সাল থেকে দখল করে রাখেন। দীর্ঘদিন ধরে দখলকৃত জমি ছেড়ে দিতে তাকে অনুরোধ করা হলেও এতে কর্ণপাত না করে আট শতাংশ জমিতে গত দুই বছর আগে মুরুগের খামার তৈরি করেন। ১২ ই জুন রোজ বুধবার বিদ্যালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আট শতাংশ জমি চিহ্নিত করে সীমানা পিলার ও লালকাপড়ের খুঁটি এবং বিদ্যালয়ের নামে সাইন বোর্ড বসানো হয়। বিদ্যালয়ের জায়গা উল্লেখ করে সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়। এসময় দখলকারী রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক জানান, বিদ্যালয়ের বেদখল হওয়া ১৬ শতাংশ জায়গার মধ্যে ৮ শতাংশ জমি নিয়ে মামলা চলছে। অপর আট শতাংশ জমি ৩৭ বছর পর উদ্ধার করে সীমানা চিহ্নিত করে পিলার বসানো হয়েছে। তিনি বলেন বেদখল হওয়া জায়গার কারণে শিক্ষা প্রকৌশল দফতর থেকে বরাদ্দকৃত ২টি পাচতলা ভবন নির্মাণ বিঘ্নিত হচ্ছে। আমরা বিদ্যালয়ের জায়গা উদ্ধার ও সীমানা চিহ্নিত হওয়ায় প্রশাসন কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞা সা-আধ বলেন, বিদ্যালয়ের জায়গা চিহ্নিত করে সীমানা পিলার ও বিদ্যালয়ের নামে সাইন বোর্ড বসানো হয়েছে। বেদকলকৃত জমিতে নির্মাণকৃত স্হাপনা আইনি প্রক্রিয়ায় দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম বলেন, আইনিভাবে বিদ্যালয়ের জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করে এখানে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মান করা হবে।