সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের জগদল গ্রামের সিরাজুল ইসলাম কে খুজে পাচ্ছেনা পরিবার।
৫ ই আগষ্টের পর দেশের পরিস্থিতি খারাপ হলে আওয়ামীলীগের পরিবারের লোকজনের জন্য নেমে আসে দুর্বিষহ যন্ত্রণাময় দিন, কেউ পালিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়ায় অথবা যে যেভাবে পারছে পালিয়ে গেছে, আর যারা লুকিয়ে দেশে ছিলেন তারাও এক হয় জেল হাজতে অথবা চরম কষ্টের লুকিয়ে কাটাচ্ছেন প্রতিদিন। এমন অবস্থায় দিরাই উপজেলা জগদল গ্রামের সাজ্জাদ আহমেদকে হত্যার হুমকি ও তার পিতা সিরাজুল ইসলাম কে খুজে না পাওয়া নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করেন সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী
আমিরা বেগম। তিনি বলেন আওয়ামীলীগ করার কারনে তারা আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল এবং ১০ আগষ্ট বি এন পি নেতা আরিফুল হকের সন্ত্রাসীরা গভীর রাতে আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তারা আমার স্বামী ও ছেলে সহ আমাদের নির্মমভাবে লাঞ্ছিত করে, এই সময় আমার ছেলের বউ গর্ভাবস্থায় ছিলেন তার পরেও থাকে হাসপাতালে নিতে বাধা প্রধান করে।
তাদের হামলায় আমি ও আমার স্বামী প্রহারের শিকার হই, যার কারনে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিকৃত হয়ে যায় এবং পরে আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে আমাদের উদ্ধার করে।
আমরা বি এন পি, জামাতের সন্ত্রাসীদের আক্রমণের শিকার। কারন আমার স্বামী এবং ছেলে আওয়ামীলীগ করতো।
এহেন কর্মকাণ্ডের পর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিতে পুলিশ ও আদালতে গিয়েছি রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে কোনো সাহায্য পাইনি।
কারণ আমার স্বামী ও আমার ছেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে খুব সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন বলে।
আমার স্বামী সিদ্ধান্ত নেন আরিফুল হক চৌধুরী ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করবেন। সেই উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ আলোচনা করলে আরিফুল হকের লোকজন জেনে যায়। তারই সূত্র ধরে প্রেস কনফারেন্সের মাত্র ২ দিন আগে, ৮ ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং , যখন তিনি কেনাকাটা করতে বাজারে যান, তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমার স্বামী বাড়ি ফিরে আসেননি আমার স্বামী নিখোঁজ রয়েছেন। আমার মেয়ের জামাইরা এবং আত্মীয়-স্বজন সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করার পরও এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান না পাওয়ায় পরিবার কঠিন বিপর্যয়ের মধ্য দিনযাপন করছি। এমত অবস্থায় কোন ব্যক্তি আমার স্বামীর সন্ধান পারলে আমি এবং আমার পরিবার কৃতজ্ঞ থাকব।