প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ৩০, ২০২৫, ৩:৪৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২২, ২০২৫, ১১:০৬ অপরাহ্ণ
দিরাইয়ে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে নিহত ১ যুবতীসহ আহত তিনজন

সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরএলাকার ও উপজেলার পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ইকবাল হোসেন (৩৫) নামের এক শ্রমিক নিহত ও যুবতীসহ তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নিহত ইকবাল ভোলা জেলার লেতরা থানার রসুলপুর গ্রামের মৃত সালাউদ্দিনের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল বিকালে ধান কর্তন করতে বরাম হাওয়রে যায় এসময় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের বরাম হাওয়ারে সকালে আবহাওয়া খারাপ দেখে বাড়ির পাশে খলায় ধান তুলতে যায় ওই যুবতীসহ আরও কয়েক জন এমন সময় বজ্রপাত শুরু হলে দৌড়ে যাওয়ার পথে পা পিছলে পড়ে যায় পাপিয়া (১৮) নামের যুবতী। আহত ওই কিশোরী কাদিরপুর গ্রামে সেলিম মিয়ার মেয়ে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়।
অন্যদিকে দিরাই উপজেলা জমিয়তের সহ সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা হাবিবুর রহমান (হাবিব) (৪৫) বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। আহত হাবিবুর রহমান বরাম হাওয়ারে সকালে কৃষি কাজ করগেলে বজ্রপাত শিকার হন। স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। তিনি পৌর শহরের চন্ডিপুর গ্রামের হাজী আব্দুর নুরের ছেলে।
উপজেলার ভাঙ্গাডহর ইসমাইল মিয়া (৫০) হাওয়ার থেকে গবাদিপশু (গরু) আনতে গিয়ে বজ্রপাত আহত হয়। তিনি উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়।
এবিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজিয়া মানালুল জানায়, বজ্রপাতে একজন যুবতীসহ তিনজন আহত হয়েছে। তবে একজন যুবতী ও একজন পুরুষ এখন স্বাভাবিক আছে। অপরজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
বজ্রপাতে আহত বিষয়টি নিশ্চয় করে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সনজীব সরকার বলেন, কালবৈশাখীর ঝড়ে বজ্রপাতে আহত হন। ইতিমধ্যে উপজেলার কুলঞ্জ-তাড়ল-ভাটিপাড়া ও চরনারচর ইউনিয়নে অধিক প্রকল্পের মাধ্যমে চারটি ফার্মাসেলটার তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিশুদ্ধ পানি ও বজ্রপাত প্রতিরোধ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই হাওর এলাকার কৃষকেরা যদি এই স্থাপনা গুলো ব্যবহার করেন, তাহলে হয়তো বা কিছুটা বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বজ্রপাতের নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সিলেট জার্নাল-২০২৫