Sylhet 6:00 pm, Tuesday, 24 December 2024

দিরাই পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা অফিসে বসেই ইচ্ছেমতো বিল বানিয়ে পকেট কাটছেন সাধারন গ্রাহকদের

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সম্প্রতি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের শিববাজারে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে বন্ধ রাখা একটি বরফ মিলের বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে রয়েছেন মিলের মালিক। মিল কল বন্ধ থাকার পরও কিভাবে এত টাকা বিল আসে এ নিয়ে কেবলই মিল মালিক নয় এমন অভিযোগ স্থানীয় অনেক গ্রাহকের রয়েছে।

সরেজমিনে শিববাজার গিয়ে ঘুরে এবং ভুক্তভোগী পল্লী বরফ কলের বর্তমান মালিক শ্যামল চন্দ্র সরকার (অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য) জানান, বিগত বিলগুলো বারবার সংশোধন করার পরেও চলতি বছরের গত দুই ( এপ্রিল ও মে ) মাসে বন্ধ থাকা বর্তমান বিদ্যুৎ মিটার রিডিং এর চেয়ে অনেক বেশী বিল দাড়ঁ করিয়েছে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্তৃপক্ষ। এই বরফ মিলটি দুইমাস পূর্বে বন্ধ করার সময় বিদ্যুৎতের মিটার রিডিং ছিল ৩২ হাজার ৮৯৮ ইউনিট। তখন ঐ বিলের সম্পূর্ণ টাাক মিল মালিক পরিশোধ ও করে নেন। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল ও মে এই দুই মাস বরফ কল বন্ধ থাকা সত্বে ও বিদ্যুৎতের মিটার রিডিং দেখানো হয়েছে ৩৪ হাজার ৪৫ ইউনিট। এই মিল মালিক চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎতের বিল পরিশোধ করার সময় রিডিং ছিল ৩২ হাজার ৮৯৮ ইউনিট। কিন্তু গত দুই মাস এই বলফ কলটি বন্ধ থাকা সত্বেও কিভাবে অতিরিক্ত প্রায় দুই হাজার ইউনিট বিল এবং বকেয়া বিল ৮ হাজার ২৫ টাকা বাড়ল এ নিয়ে মিল মালিক হতাশ হয়েছেন। দিরাই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর এমন অনিয়ম আর দূর্নীতির ভূক্তভোগী অনেকেই হয়েছেন। বিদ্যুৎ বিভাগ একটি সেরাকারী প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও মনে হয় যেন এটা সাগর চুরির মতো একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে এখনই পদপেক্ষ না নিলে এমন হয়রানির শিকার হবেন এই উপজেলার শত শত গ্রাহকরা। স্থানীয় অনেক ভূক্তভোগীরা জানান,বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন বিল তৈরী করার আগে কার মিটারে কত রিডিং আছে সেটা সরেজমিনে পরীক্ষা নিরিক্ষা না করেই অফিসে বসেই তাদের ইচ্ছেমতো বিল তৈরী করে গ্রাহকদের পকেট কেটে অধিক মুনাফা নিচ্ছেন কিছু দূর্নীতিবাজ বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এবং ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রামের সহজ সরল গ্রাহকরা।

দিরাই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই এমন অভিযোগ করে আসছেন দিরাই উপজেলার গ্রাহকরা।

এ ব্যাপারে শিববাজার বরফ কলের বর্তমান মালিক শ্যামল চন্দ্র সরকার(অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য) বলেন,পল্লীবিদ্যুৎ একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা কিভাবে পানির অজুহাত দেখিয়ে অফিসে বসে বসে তাদের মনের মতো করে বিল বাউচার বানিয়ে সাধারন গ্রাহকদের পকেট কেটে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মাসত করলে ও দেখাওর যেন কেউ নেই। মনে হয় যেন গ্রাহকরা তাদের নিকট খেলনার পুতুল হয়ে গেছেন। দিরাই পল্লীবিদ্যুৎতের এমন সাগরচুরি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এ ব্যাপারে দিরাই পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের এ জি এম মোঃ নুরুল ইসলামের সাথে বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার পর তিনি এই বিলটি বিদ্যুৎ অফিস থেকে অনুমানের উপর তৈরী করা হয়েছে স্বীকার করে বিলটি সংশোধন করে দেয়ার প্রতিশ্রæতি দেন। ##

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
২৬.০৬.২০২৪

About Author Information

Sylhet Journal

জনপ্রিয় সংবাদ

সেচ্ছাসেবক দল নেতার খোঁজ-খবর নিয়ে প্রশংসা ভাসছেন জনাব তারেক রহমান

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

দিরাই পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা অফিসে বসেই ইচ্ছেমতো বিল বানিয়ে পকেট কাটছেন সাধারন গ্রাহকদের

প্রকাশের সময় : 01:10:22 pm, Wednesday, 26 June 2024

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সম্প্রতি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের শিববাজারে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে বন্ধ রাখা একটি বরফ মিলের বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে রয়েছেন মিলের মালিক। মিল কল বন্ধ থাকার পরও কিভাবে এত টাকা বিল আসে এ নিয়ে কেবলই মিল মালিক নয় এমন অভিযোগ স্থানীয় অনেক গ্রাহকের রয়েছে।

সরেজমিনে শিববাজার গিয়ে ঘুরে এবং ভুক্তভোগী পল্লী বরফ কলের বর্তমান মালিক শ্যামল চন্দ্র সরকার (অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য) জানান, বিগত বিলগুলো বারবার সংশোধন করার পরেও চলতি বছরের গত দুই ( এপ্রিল ও মে ) মাসে বন্ধ থাকা বর্তমান বিদ্যুৎ মিটার রিডিং এর চেয়ে অনেক বেশী বিল দাড়ঁ করিয়েছে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্তৃপক্ষ। এই বরফ মিলটি দুইমাস পূর্বে বন্ধ করার সময় বিদ্যুৎতের মিটার রিডিং ছিল ৩২ হাজার ৮৯৮ ইউনিট। তখন ঐ বিলের সম্পূর্ণ টাাক মিল মালিক পরিশোধ ও করে নেন। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল ও মে এই দুই মাস বরফ কল বন্ধ থাকা সত্বে ও বিদ্যুৎতের মিটার রিডিং দেখানো হয়েছে ৩৪ হাজার ৪৫ ইউনিট। এই মিল মালিক চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎতের বিল পরিশোধ করার সময় রিডিং ছিল ৩২ হাজার ৮৯৮ ইউনিট। কিন্তু গত দুই মাস এই বলফ কলটি বন্ধ থাকা সত্বেও কিভাবে অতিরিক্ত প্রায় দুই হাজার ইউনিট বিল এবং বকেয়া বিল ৮ হাজার ২৫ টাকা বাড়ল এ নিয়ে মিল মালিক হতাশ হয়েছেন। দিরাই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর এমন অনিয়ম আর দূর্নীতির ভূক্তভোগী অনেকেই হয়েছেন। বিদ্যুৎ বিভাগ একটি সেরাকারী প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও মনে হয় যেন এটা সাগর চুরির মতো একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে এখনই পদপেক্ষ না নিলে এমন হয়রানির শিকার হবেন এই উপজেলার শত শত গ্রাহকরা। স্থানীয় অনেক ভূক্তভোগীরা জানান,বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন বিল তৈরী করার আগে কার মিটারে কত রিডিং আছে সেটা সরেজমিনে পরীক্ষা নিরিক্ষা না করেই অফিসে বসেই তাদের ইচ্ছেমতো বিল তৈরী করে গ্রাহকদের পকেট কেটে অধিক মুনাফা নিচ্ছেন কিছু দূর্নীতিবাজ বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এবং ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রামের সহজ সরল গ্রাহকরা।

দিরাই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই এমন অভিযোগ করে আসছেন দিরাই উপজেলার গ্রাহকরা।

এ ব্যাপারে শিববাজার বরফ কলের বর্তমান মালিক শ্যামল চন্দ্র সরকার(অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য) বলেন,পল্লীবিদ্যুৎ একটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা কিভাবে পানির অজুহাত দেখিয়ে অফিসে বসে বসে তাদের মনের মতো করে বিল বাউচার বানিয়ে সাধারন গ্রাহকদের পকেট কেটে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মাসত করলে ও দেখাওর যেন কেউ নেই। মনে হয় যেন গ্রাহকরা তাদের নিকট খেলনার পুতুল হয়ে গেছেন। দিরাই পল্লীবিদ্যুৎতের এমন সাগরচুরি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এ ব্যাপারে দিরাই পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের এ জি এম মোঃ নুরুল ইসলামের সাথে বেশ কয়েকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার পর তিনি এই বিলটি বিদ্যুৎ অফিস থেকে অনুমানের উপর তৈরী করা হয়েছে স্বীকার করে বিলটি সংশোধন করে দেয়ার প্রতিশ্রæতি দেন। ##

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
২৬.০৬.২০২৪