সজীব হাসান, (বগুড়া) প্রতিনিধি:
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে বগুড়ার তিনটি উপজেলার ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলে বগুড়া সদর উপজেলায় জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন (আনারস), শিবগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা (আনারস) এবং শাজাহানপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু (মোটরসাইকেল) নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টা থেকে একটানা ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক ভুল হওয়ায় বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে শহরের একটি কেন্দ্র থেকে ২ প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রত্যাহার এবং ভোটে প্রভাব বিস্তার করার দায়ে এক যুবলীগের নেতাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বগুড়া সদর ছাড়াও শিবগঞ্জ এবং শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শেরপুর থেকে এসে প্রার্থীর পক্ষে লিফলেট বিতরণ করায় শাজাহানপুরে এক ব্যাক্তিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। বগুড়া সদরে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন তার প্রতীক ছিলো আনারস। তিনি পেয়েছেন ৩৬ হাজার ২৬০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬৮৫ ভোট। বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটি লিটন-রনি কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খাঁন রনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৬১৮ ভোট। সদরে মোট ৪ লাখ ৩৪ হাজার ২২৯ জন ভোটারের মধ্যে ৮৫ হাজার ৬৯৬ জন ভোটর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ৪ হাজার ২০৪ ভোট বাতিল হয়েছে। ভোট গ্রহণের হার ছিলো ১৯.৭৪ শতাংশ। বেসরকারি ফলাফলে শুভাশীষ পোদ্দার লিটন বিজয়ী হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. তহমিনা আকতার ৪৩ হাজার ১৮৭ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ডালিয়া খাতুন পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৯৪৯ ভোট। শিবগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা আনারস প্রতীক নিয়ে ৭৭ হাজার ১০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ফিরোজ আহম্মেদ রিজু মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৫৭ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়েছেন। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে শাহনেওয়াজ বিপুল তালা প্রতীকে ৬২ হাজার ২৩০ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতী আক্তার টুম্পা কলস প্রতীকে ৪৬ হাজার ৯৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৫ জন। নির্বাচন চলাকালিন রায়নগর ইউনিয়নের সেকেন্দ্রাবাদ মাদ্রাসা কেন্দ্রে এবং পৌরসভার শব্দলদিঘী বিদ্যালয় কেন্দ্রে ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইনশৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি শান্ত হয়। শাজাহানপুর উপজেলায় সোহরাব হোসেন ছান্নু মোটরসাইকেল প্রতীকে ৫২ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়ে পুনঃরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান সাহীন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪১ হাজার ৯০৫ ভোট। এই উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুল মজিদ তালা প্রতীকে ৩৬ হাজার ৯২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাজনুর রহমান শাহিন পেয়েছেন ২২ হাজার ৪০৬ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাপিয়া সুলতানা হাঁস প্রতীকে ৫০০০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাভলী ইয়াসমিন ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬০১ ভোট।।