হুমায়ূন কবীর ফরীদি, স্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রবল বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে জগন্নাথপুরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশা-পাশি হাওরেও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।ইতিমধ্যে নিম্নাঞ্চল এর মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যার আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জনসাধারণ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।
বিগত কয়েক দিন ধরে অর্থাৎ ২৫ শে মে থেকে ৩০ শে মে পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাত ও চলতি জুন মাসের ১ম তারিখ থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে দেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কুশিয়ারা, নলজুর,রত্নখনি ও ডাউকা নদী সহ বিভিন্ন নদ-নদী সহ হাওরে পানি বেড়েই চলছে। যার ফলশ্রুতিতে ইতিমধ্যে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু বাড়ী -ঘর এর আঙ্গিনা ছুঁই ছুঁই পানি, স্কল প্রাঙ্গন, আশ্রয়ণ প্রকল্প ও রাস্তা-ঘাট পানির নীচে তলিয়ে গেছে। যদিও পানির গতিবেগ বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। তবুও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক রয়েছেন প্রশাসন ও জনসাধারণ। ইতিমধ্যে অর্থাৎ গত ৩০ শে মে জগন্নাথপুর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জগন্নাথপুর উপজেলা উপজেলা প্রশাসন সকল প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ওয়েব সাইটে জরুরী বার্তায় বলা হয়েছে সাম্প্রতিক ভারী বর্ষন আর পাহাড়ী ঢলে পানি বৃদ্ধি ফলে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগ এর জন্য কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা ছায়াদ মিয়া, সুহেল মিয়া, সিরাজুল, নূর আহমদ ও আহাদ আলী সহ অনেকেই একান্ত আলাপকালে দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন, মুশলধারে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আর উজান থেকে দেয়ে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া সহ হাওরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের অনেক রাস্তা -ঘাট পানির নীচে তলিয়ে গেছে। স্কুল আঙ্গিনায় পানি উঠে পড়েছে। বাড়ী ঘরের আঙ্গিনা ছুঁই ছুঁই পানি। ক্রমান্বয়ে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যার আশঙ্কা বিরাজ করছে। আকাশের যে অবস্থা, কখন জানি কি হয় এই আতঙ্কে দিনাতিপাত করছি।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল-বশিরুল ইসলাম বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। সতর্ক করা হচ্ছে জন সাধারণকে। ইতিমধ্যে স্থানীয় জন-প্রতিনিধিদের নিয়ে জরুরী সভা করা হয়েছে। তিনি জনগণের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে খাদ্য দ্রব্য মজুদ রয়েছে। সেই সাথে আশ্রয়কেন্দ্র খোলার প্রস্তুতি চলছে।