Sylhet 5:45 pm, Tuesday, 24 December 2024

মধ্যনগরে ভাঙ্গা হলো অক্ষত যাত্রী ছাওনী

নিজস্ব প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা সদরের ঠাকুরাকোনা ট্রলার ঘাটে নবনির্মিত যাত্রী ছাওনী ভেঙ্গে পুনঃস্থাপনের অভিযোগ উঠেছে।এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুমুল সমালোচনায় প্রশ্ন উঠে যাত্রী ছাওনীটি নতুন এবং অক্ষত ছিল তবে কেন ভাঙ্গা হলো? নেমপ্লেটের তথ্যনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে স্কিম বাস্তবায়ন করে মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদ। মধ্যনগর ঠাকুরাকোনা ট্রলার ঘাটে যাত্রী ছাওনী নির্মাণের আরএফকিউ পদ্ধতিতে অর্থ আসে এলজি এসপি-৩ থেকে।যার শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার।সহযোগিতায় ছিলেন ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃআর্শাদ মিয়া।

সাবেক চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার পরেই আলোচনায় উঠে আসে যাত্রী ছাওনীটি বেশ ভালই ছিল।তবে কেন?এটিকে ভেঙ্গে নতুন করে ছাওনী স্থাপনার কাজ শুরু হয়েছে? আগের ছাওনী রেখে বাজারের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানেও আরেকটি যাত্রী ছাওনী নির্মাণ করা যেতো।এনিয়ে সদ্যসাবেক সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ১৩ই জুন প্রবীর বিজয় তালুকদার তাঁর নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইলের পোস্ট করেন।যা হুবহু তুলে ধরা হলোঃ
বাজারের দক্ষিণ দিকে ( কামাউড়া ঘাটে) দৃষ্টিনন্দন যাত্রী ছাউনিটি ভেঙে আবার নবরুপে যাত্রী ছাউনি তৈরী করা হচ্ছে, নব উপজেলার শ্রী বৃদ্ধির লক্ষ্যে আর কি কোনো স্হান ছিলো না যাত্রী ছাউনি তৈরীর -নীতিনির্ধারণী বাজার ব্যবস্হাপনা কমিটিসহ সিদ্ধান্ত গ্রহণ কারী কতা’ ব্যক্তিদের নিকট সবিনয়ে জানতে চাই কেনো এমনটি হলো?এমন সমন্বয়হীনতা হলে আমরা কিভাবে মডেলিং প্রত্যাশা করতে পারি?

এইপোস্টের কমেন্টবক্সে উঠে আসে প্রায় সত্তরের বেশী মন্তব্য।এরমধ্যে রয়েছেন সদরের বর্তমান চেয়ারম্যান সঞ্জীব রনজন তালুকদার টিটু, তিনি লিখেন-
দারুণ লিখেছেন দাদা। বিষয়টি একদম ঠিক হয়নি, নতুন কোন জায়গায় নির্মান করা যেত। এ নিয়ে কথা বলেছি, কিন্তু যিনি এখতিয়ারাধীন তিনি কি কারণে করেছেন? ব্যাখ্যা দিবেন ক্ষেত্র বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত কেন করলেন তার জন্য বিধি মোতাবেক অবশ্যই ব্যবস্থার আওতায় যাবেন। সম্পুর্ন নতুন যাত্রী ছাউনি কেন তাড়াহুড়ো করে ভেংগে ফেলা হল! তা অবশ্যই জনসাধারণকে জানতে হবে।

মধ্যনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ লিখেন-দাদা সাধারণ জনগণের মধ্যেও একই প্রশ্ন কেন এই নতুন যাত্রী চাওনিটি ভেঙ্গে ফেলা হলো। এত সুন্দর একটা যাত্রী চাওনি এটা ভাঙ্গার কোন প্রয়োজন ছিল না।’মধ্যনগর বাজারের ব্যাবসায়ী দেবল কিরণ তালুকদার লিখেন-মধ্যনগর বাজারে ঠাকুরোকোনা ট্রলার ঘাটের পাশে। সম্পন্ন নতুন যাত্রী ছাউনি ভেঙ্গে।আবার নতুন করে তোলার উদ্দেশ্য কি ।সরকারের টাকা জনগণের টাকা এভাবে নষ্ট হোক আমি তা চাই না ।আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।এছাড়াও অক্ষত যাত্রী ছাওনী ভেঙ্গে নতুন করে নির্মানের প্রতি অসংখ্য মন্তব্যে সাধারণ জনমানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্শী চাকমা বলেন-মধ্যনগর সদরের যাত্রী ছাওনীটি চলতি বছরের প্রথমদিকে উপজেলা উন্নয়ন মুলক মাসিক সমন্বয় সভায় সংষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।যার বরাদ্দ মাত্র দুলক্ষ টাকা।ঐযাত্রী ছাওনীটি যদি অক্ষতই থাকে তবে কেন সংষ্কার হবে? পুনস্থাপনের প্রশ্নই আসে না।কেন এমনটি হলো গুরুত্বের সহিত অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।

About Author Information

SYLHET JOURNAL

জনপ্রিয় সংবাদ

সেচ্ছাসেবক দল নেতার খোঁজ-খবর নিয়ে প্রশংসা ভাসছেন জনাব তারেক রহমান

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

মধ্যনগরে ভাঙ্গা হলো অক্ষত যাত্রী ছাওনী

প্রকাশের সময় : 09:58:04 am, Tuesday, 25 June 2024

নিজস্ব প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা সদরের ঠাকুরাকোনা ট্রলার ঘাটে নবনির্মিত যাত্রী ছাওনী ভেঙ্গে পুনঃস্থাপনের অভিযোগ উঠেছে।এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুমুল সমালোচনায় প্রশ্ন উঠে যাত্রী ছাওনীটি নতুন এবং অক্ষত ছিল তবে কেন ভাঙ্গা হলো? নেমপ্লেটের তথ্যনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে স্কিম বাস্তবায়ন করে মধ্যনগর ইউনিয়ন পরিষদ। মধ্যনগর ঠাকুরাকোনা ট্রলার ঘাটে যাত্রী ছাওনী নির্মাণের আরএফকিউ পদ্ধতিতে অর্থ আসে এলজি এসপি-৩ থেকে।যার শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার।সহযোগিতায় ছিলেন ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃআর্শাদ মিয়া।

সাবেক চেয়ারম্যান প্রবীর বিজয় তালুকদার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করার পরেই আলোচনায় উঠে আসে যাত্রী ছাওনীটি বেশ ভালই ছিল।তবে কেন?এটিকে ভেঙ্গে নতুন করে ছাওনী স্থাপনার কাজ শুরু হয়েছে? আগের ছাওনী রেখে বাজারের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানেও আরেকটি যাত্রী ছাওনী নির্মাণ করা যেতো।এনিয়ে সদ্যসাবেক সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ১৩ই জুন প্রবীর বিজয় তালুকদার তাঁর নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইলের পোস্ট করেন।যা হুবহু তুলে ধরা হলোঃ
বাজারের দক্ষিণ দিকে ( কামাউড়া ঘাটে) দৃষ্টিনন্দন যাত্রী ছাউনিটি ভেঙে আবার নবরুপে যাত্রী ছাউনি তৈরী করা হচ্ছে, নব উপজেলার শ্রী বৃদ্ধির লক্ষ্যে আর কি কোনো স্হান ছিলো না যাত্রী ছাউনি তৈরীর -নীতিনির্ধারণী বাজার ব্যবস্হাপনা কমিটিসহ সিদ্ধান্ত গ্রহণ কারী কতা’ ব্যক্তিদের নিকট সবিনয়ে জানতে চাই কেনো এমনটি হলো?এমন সমন্বয়হীনতা হলে আমরা কিভাবে মডেলিং প্রত্যাশা করতে পারি?

এইপোস্টের কমেন্টবক্সে উঠে আসে প্রায় সত্তরের বেশী মন্তব্য।এরমধ্যে রয়েছেন সদরের বর্তমান চেয়ারম্যান সঞ্জীব রনজন তালুকদার টিটু, তিনি লিখেন-
দারুণ লিখেছেন দাদা। বিষয়টি একদম ঠিক হয়নি, নতুন কোন জায়গায় নির্মান করা যেত। এ নিয়ে কথা বলেছি, কিন্তু যিনি এখতিয়ারাধীন তিনি কি কারণে করেছেন? ব্যাখ্যা দিবেন ক্ষেত্র বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত কেন করলেন তার জন্য বিধি মোতাবেক অবশ্যই ব্যবস্থার আওতায় যাবেন। সম্পুর্ন নতুন যাত্রী ছাউনি কেন তাড়াহুড়ো করে ভেংগে ফেলা হল! তা অবশ্যই জনসাধারণকে জানতে হবে।

মধ্যনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ লিখেন-দাদা সাধারণ জনগণের মধ্যেও একই প্রশ্ন কেন এই নতুন যাত্রী চাওনিটি ভেঙ্গে ফেলা হলো। এত সুন্দর একটা যাত্রী চাওনি এটা ভাঙ্গার কোন প্রয়োজন ছিল না।’মধ্যনগর বাজারের ব্যাবসায়ী দেবল কিরণ তালুকদার লিখেন-মধ্যনগর বাজারে ঠাকুরোকোনা ট্রলার ঘাটের পাশে। সম্পন্ন নতুন যাত্রী ছাউনি ভেঙ্গে।আবার নতুন করে তোলার উদ্দেশ্য কি ।সরকারের টাকা জনগণের টাকা এভাবে নষ্ট হোক আমি তা চাই না ।আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।এছাড়াও অক্ষত যাত্রী ছাওনী ভেঙ্গে নতুন করে নির্মানের প্রতি অসংখ্য মন্তব্যে সাধারণ জনমানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্শী চাকমা বলেন-মধ্যনগর সদরের যাত্রী ছাওনীটি চলতি বছরের প্রথমদিকে উপজেলা উন্নয়ন মুলক মাসিক সমন্বয় সভায় সংষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।যার বরাদ্দ মাত্র দুলক্ষ টাকা।ঐযাত্রী ছাওনীটি যদি অক্ষতই থাকে তবে কেন সংষ্কার হবে? পুনস্থাপনের প্রশ্নই আসে না।কেন এমনটি হলো গুরুত্বের সহিত অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।