Sylhet 4:20 pm, Tuesday, 24 December 2024

মৎস্যজীবি আব্দুন নুরের খুনীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁিসর দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউপির নাসিরপুর গ্রামের আব্দুন নুর মিয়া নামে এক মৎস্যজীবি ভাসান পানিতে মাছ ধরার কারণে তাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় খুনীদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এলাকাবাসীর আয়োজনে স্থানীয় মিলনবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার চার শতাধিক লোকজন অংশগ্রহন করেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন,ইদ্রিছ আলী,নিহতের ছেলে শিপন মিয়া,আমীর হোসেন,মুক্তার হোসেন মুক্তা,আলী হায়দার,সিরাজ মিয়া ও আব্দুল কাইয়ূম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন,গত ১২ই সেপ্টেম্বর সকালে দিরাইয়ের চরনাররচর ইউপির নাসিরপুর গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে দিনমুজুর মৎস্যজীবি ও লৌলারচর নাসিরপুর গ্রামের জামে মসজিদের সাবেক ক্যাশিয়ার আব্দুন নুর মিয়া গ্রামের পশ্চিম পাশে একটি সরকারী ডোবায় ভাসান পানিতে মাছ ধরতে যান।

এ সময় একই গ্রামের মৃত জবর আলীর ছেলে সুরুজ আলীর নির্দেশে তার ৭ ছেলে আব্দুন নুর মিয়াকে মাছ ধরতে নিষেধ করলে তিনি বাড়িতে চলে আসেন। কিছুক্ষণ পর খুনী সুরুজ আলী তার ৭ ছেলেকে নিয়ে আব্দুন নুরের বাড়িতে গিয়ে তাকে মাঠিতে ফেলে দাড়াঁলো অস্ত্র দা,রামদা,ছুলফি দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করলে তিনি অধিক রক্তখননে মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন।

পরবর্তীতে তার স্বজনরা তাকে দ্রুত দিরাই উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্ম এ নিয়ে যাওয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সাথে সাথে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হয়। পরবর্তীতে তাকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে আশংঙ্কাজনক অবস্থ্ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর গত ২২ সেপ্টেম্বর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা আক্কল আলীর ছেলে আব্দুল কাইয়ূম বাদি হয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর একই গ্রামের হত্যাকারী সুরুজ আলী ও তার ৭ ছেলে ফিরোজ আলী,দুলা মিয়া,রাজা মিয়া,সামাদ মিয়া,ছালাই মিয়া,ছাইবুর মিয়া,ছাদ মিয়া ,মৃত বানু মিয়ার দুই ছেলে একাদুল মিয়া ও আমিনুরসহ ১০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫জনকে আসামী করে দন্ডবিধির ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৬//৩০৭/৪২৭/৫০৬/১১৪/৩৪ ধারায় দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৮ ।

মামলা দায়েরের দিন পেরিয়ে গেলেও আসামীপক্ষ প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরে বেড়ালে ও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার না করায় বাদিপক্ষ হতাশাসহ শংঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। বরং আসামীরা প্রভাবশালী হওয়াতে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দামকী দিচ্ছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। অবিলম্বে আব্দুন নুর মিয়ার সকল খুনীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাসিঁর রায় কার্যকরের জন্য বর্তমান অন্তবর্তী সরকার ও পুলিশ সুপারের নিকট দাবী জানান।

এ ব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান,এই আব্দুন নুর হত্যাকান্ডের মামলায় ৪ জন বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন এবং বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ##

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
০১.১০.২০২৪

About Author Information

Sylhet Journal

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাতকে রেলওয়ের কংক্রিট স্লিপার প্লান্টে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

মৎস্যজীবি আব্দুন নুরের খুনীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁিসর দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

প্রকাশের সময় : 07:41:54 am, Tuesday, 1 October 2024

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউপির নাসিরপুর গ্রামের আব্দুন নুর মিয়া নামে এক মৎস্যজীবি ভাসান পানিতে মাছ ধরার কারণে তাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় খুনীদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এলাকাবাসীর আয়োজনে স্থানীয় মিলনবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার চার শতাধিক লোকজন অংশগ্রহন করেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন,ইদ্রিছ আলী,নিহতের ছেলে শিপন মিয়া,আমীর হোসেন,মুক্তার হোসেন মুক্তা,আলী হায়দার,সিরাজ মিয়া ও আব্দুল কাইয়ূম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন,গত ১২ই সেপ্টেম্বর সকালে দিরাইয়ের চরনাররচর ইউপির নাসিরপুর গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে দিনমুজুর মৎস্যজীবি ও লৌলারচর নাসিরপুর গ্রামের জামে মসজিদের সাবেক ক্যাশিয়ার আব্দুন নুর মিয়া গ্রামের পশ্চিম পাশে একটি সরকারী ডোবায় ভাসান পানিতে মাছ ধরতে যান।

এ সময় একই গ্রামের মৃত জবর আলীর ছেলে সুরুজ আলীর নির্দেশে তার ৭ ছেলে আব্দুন নুর মিয়াকে মাছ ধরতে নিষেধ করলে তিনি বাড়িতে চলে আসেন। কিছুক্ষণ পর খুনী সুরুজ আলী তার ৭ ছেলেকে নিয়ে আব্দুন নুরের বাড়িতে গিয়ে তাকে মাঠিতে ফেলে দাড়াঁলো অস্ত্র দা,রামদা,ছুলফি দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করলে তিনি অধিক রক্তখননে মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন।

পরবর্তীতে তার স্বজনরা তাকে দ্রুত দিরাই উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্ম এ নিয়ে যাওয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সাথে সাথে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হয়। পরবর্তীতে তাকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে আশংঙ্কাজনক অবস্থ্ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর গত ২২ সেপ্টেম্বর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা আক্কল আলীর ছেলে আব্দুল কাইয়ূম বাদি হয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর একই গ্রামের হত্যাকারী সুরুজ আলী ও তার ৭ ছেলে ফিরোজ আলী,দুলা মিয়া,রাজা মিয়া,সামাদ মিয়া,ছালাই মিয়া,ছাইবুর মিয়া,ছাদ মিয়া ,মৃত বানু মিয়ার দুই ছেলে একাদুল মিয়া ও আমিনুরসহ ১০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫জনকে আসামী করে দন্ডবিধির ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৬//৩০৭/৪২৭/৫০৬/১১৪/৩৪ ধারায় দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৮ ।

মামলা দায়েরের দিন পেরিয়ে গেলেও আসামীপক্ষ প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরে বেড়ালে ও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার না করায় বাদিপক্ষ হতাশাসহ শংঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। বরং আসামীরা প্রভাবশালী হওয়াতে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দামকী দিচ্ছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। অবিলম্বে আব্দুন নুর মিয়ার সকল খুনীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাসিঁর রায় কার্যকরের জন্য বর্তমান অন্তবর্তী সরকার ও পুলিশ সুপারের নিকট দাবী জানান।

এ ব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান,এই আব্দুন নুর হত্যাকান্ডের মামলায় ৪ জন বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন এবং বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ##

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
০১.১০.২০২৪