বিশেষ প্রতিবেদন:
সিলেটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর দমন-পীড়ন এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী রুদ্র সেনকে (২২) হত্যার অভিযোগে ৭৬ জনের নাম উল্ল্যেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
সোমবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আব্দুল মোমেনের আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাবিপ্রবি শাখার সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম (২৪) বাদী হয়ে এ মামলা করেন। শাবিপ্রবি ছাত্র রুদ্র সেন হত্যার ঘটনায় ওই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর-জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা-মধ্যনগর) আসনের তৎকালীন আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি রনজিত চন্দ্র সরকারকে ওই হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সিলেটের অতিরিক্ত চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাবিপ্রবির সমন্বয়ক আবিদুল ইসলাম।
মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ছাড়াও তিন সংসদ সদস্য, শাবিপ্রবির উপাচার্যসহ চার শিক্ষক-কর্মকর্তা, পুলিশের উচ্চপদস্থ চার কর্মকর্তাসহ ১১ জন, ৫ কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের চার নেতাকে আসামী করা হয়েছে।
এ ছাড়াও সিলেট জেলা, মহানগর ও শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের ৩২ নেতাকর্মী এবং আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ১৬ জন কর্মী-সমর্থককে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২০০/৩০০ জনকে।
গেল ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই সাবেক এমপি রনজিত চন্দ্র সরকার আত্বগোপনে রয়েছেন বলে তার এক সময়ের ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন। ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে রনজিত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মঙ্গলবার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, সিলেট মহানগরীর কিলিং জোন খ্যাত টিলাগড় এলাকার গুপালটিলার বাসায় বসবাস করলেও সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের দূর্গম হাওর তীরবর্তী গোপীনাথপুর নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা রনজিত চন্দ্র সরকার। সিলেটে বসবাস করা রনজিত চন্দ্র সরকার সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে বছরে দুয়েক বার তাহিরপুরে যাতায়াত করলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবঅচনী প্রচারণা ও এবং এমপি নিবঅচিত হওয়ার পর ঘনঘন তাহিরপুর সহ তার নিবঅচনী এলাকার উপজেলাগুলোতে যাতায়াত বাড়ান। কিন্ত দু ‘ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী সরকার পতনের পর রনজিত সরকার ও নির্বাচনী এলাকায় তার চারপাশ জুড়ে থাকা চার উপজেলার সুবিধাভোগী তাহিরপুরের এখলাছুর রহমান তারা ওরফে ‘একতারা , রাজন চন্দ , নাজির, কলাগাঁও’র এমরুল হাসান ওরফে ট্রলি এমরুল,সোহেল আহমদ ওরফে হলদি সোহেল, হলদি সোহেলে সহোদর জাভেদ জঙ্গল বাড়ির হযরত আলী, সংসার পাড়ের হাবি রহমান, আউয়াল,বড়ছড়ার তমাল দাস, সূব্রত দাস , ফরহাদ, সোহেল, শুক্কুর, আলী ওরফে আম আলী, লাকমার সাদ্দাম, সোহেল, কুতুব উদ্দিন , বাগলীর মুজিবুর , সেলিম,লিটন হায়দার, শাহজাহান খন্দকার ডা. মনির, নজরুল ওরফে মুরগী নজরুল, তরং গ্রামের আতিকুর রহমান ওরফে বোতল আতিক, টিটু আখঞ্জি, আমিরুল সর্দার, বানিয়াগাৗ’র সাগর পাল, গোলকপুরের আবুল খায়ের, সহ দুই থেকে তিন শতাধিক ক্যাডার কাম ব্যাক্তিগত কর্মী সমর্থকরা আত্বগোপনে চলে যান বলে এক সময়ে রনজিত সরকারের ঘনিষ্টজনরা মঙ্গলবার সন্ধায় নিশ্চিত করেন।
#সুনামগঞ্জ#সিলেট# শাবিপ্রবি#ঢাকা# ছাত্র-জনতা# আন্দোলন#-২০.০৮.২৪