সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের গনিনগর ষোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ফেইসবুকে পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিক্ষক সহ ৪ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহতরা শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করেছেন। আহতরা হলেন,গনিগঞ্জ গ্রামের খলিলুর রহমান,তার ছেলে শামীম আহমদ, ,আব্দুল কদ্দুস,হারুন মিয়া, আমিরুল হুদা।
এ বিষয়ে শুক্রবার বিকেলে শিক্ষক শামীম আহমদ বাদী হয়ে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে শান্তিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গনিগঞ্জ গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে কয়ছর মিয়া, (৫০) তদবির আলম (৫০), পিতা-চান মিয়া, গ্রাম-চানবাড়ি,থানা-জামালগঞ্জ, আব্দুল হেকিম (৫২) আব্দুল লতিফ কাচা (৬৫), উভয় পিতা-মৃত জবান উল্লাহ, রুবেল মিয়া (২৫) পিতা-আব্দুল লতিফ, আতাবুর রহমান (২৭), ৭। এমরান হোসেন (২২) উভয় পিতা-মৃত মতলিব মিয়া, সর্ব সাং-গনিগঞ্জ, নূর আলম (৪৫) পিতা-আব্দুল ওয়াহ।
অভিযোগকারী মোঃ শামিম আহমদ বলেন,বিবাদীগণ ও আমি একই এলাকার বাসিন্ধা। আমি বিগত প্রায় ১১ বছর ধরে সম্মানের সহিত গনিনগর ষোল গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে আসছি। গত ২৬/০৬/২০২৪খ্রিঃ তারিখে আমি উক্ত বিদ্যালয়ের চাকুরী থেকে পদত্যাগ গ্রহন করি। এর পর হইতে বিবদীগণ বিভিন্ন কারনে আমার ক্ষতি করার পায়তারা করে আসছেন ২২/০৬/২০২৪খ্রিঃ তারিখে আমি আমার ব্যাক্তিগত ফেইসবুক একাউন্টে গনিনগর ষোল গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক ও ম্যনিজিং কমিটির সভাপতির দুর্নীতি নিয়ে একটি পোষ্ট করি। উক্ত পোষ্ট এর জের ধরিয়া ঘটনার তারিখ ও সময়ে অর্থাৎ ০৫/০৯/২০২৪ খ্রিঃ বিকাল সোয়া ৪ টায় বিবাদীগণ আমাকে উক্ত ঘটনাস্থলে পাইয়া আমার পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি ধামকি করতে থাকে। আমি এবং আমার বাবা ও ভাই বিবাদীদের গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে তারা উত্তেজিত বিবাদীগণ তাহাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র লাঠি, রাম-যা, লোহার রড নিয়ে আমাদের উপর আক্রমন করে। ৫নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা বাশের লাঠি দ্বারা বারিমারিয়া আমার শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলাফুলা জখম করে। ২নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লাঠি দ্বারা বারিমারিয়া ১নং সাক্ষীর শরিরে জখম করে। ১নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা কাঠের চেলি দ্বারা বারিমারিয়া ৪নং সাক্ষির পিঠে ফুলা জখম করে। আমার শোর চিৎকারে সাক্ষীগন সহ আশপাশ এর লোকজন আসিয়া বিবাদীর কবল হইতে আমাদেরকে রক্ষা করেন। বিবাদীগণ আমাকে হুমকি প্রদান করে যে আমি যদি এই বিষয় নিয়ে মামলা মোকদ্দমা করি তাহলে আমাদের আবার মারপিট করিবে। বিবাদীদের হুমকি ধামকি অব্যাহত আছে। বিবাদীদের হুমকি ধামকিতে আমি সহ আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগিতেছি। বিবাদীগণ যে কোন সময় আমার উপর সময় সুযোগ বুঝে আক্রমণ করিতে পারে। পরবর্তীতে আমি আমার আত্মীয়-স্বজন সহ আশপাশের লোকজনদের অবহিত করে থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করি। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির হুমকির ভয়ে আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন চৌধুরী অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
০৭.০৯.২০২৪