সুনামগঞ্জের শাল্লায় সাতপাড়া (কার্তিকপুর) গ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হেলাল (২৫) কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন তারই আপন চাচাতো ভাই ইউসুফ মিয়া,রিকসন মিয়া ও আলমগীর মিয়া গং। হেলাল কার্তিকপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে। তদন্তে নামে পিবিআই সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা অনুসন্ধান করেন । পরিশেষে বিভিন্ন গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে, গোয়েন্দা সংস্থা ও পিবিআইয়ের তদন্তে এসব লোমহর্ষক বর্ণনা বেড়িয়ে এসেছে।
জানা যায়, রবিবার গভীর রাতে শাল্লা থানা পুলিশ আপন চাচাতো ভাইকে হত্যার দায়ে কার্তিকপুর থেকে হেলাল হত্যাকারী তার আপন চাচাতো তিন ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশের একটি চৌকস টিম।
২০২৩ সালের (২৭ জুন) সাতপাড়া বাজারে খাস জমিতে থাকা একটি দোকান ঘর নিয়ে সংঘর্ষ ঘটে ইউসুফ মিয়া ও মুজিবুর রহমান গংদের মধ্যে। সংঘর্ষে মুজিবুর রহমান পক্ষের হাবিবুর রহমান নামের একজন নিহত হন। কাউন্টার মামলা করার জন্য আপন চাচাতো ভাইকে পরের দিন পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে রিকসন গং। সংঘর্ষের সময় হেলাল উদ্দিন ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা আজমীরিগঞ্জ উপজেলা । রিকসন গ্রুপের দুষ্কৃতকারীরা তাকে নৌকায় তুলে নিয়ে যায়। এরপর রাতে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ আসে শাল্লা উপজেলা সদর হাসপাতালে।
৩ দিন পর গভীর রাতে হেলালকে হত্যার অভিযোগে প্রতিপক্ষ ৩৪ জনের নামে কাউন্টার মামলা রেকর্ড করেন শাল্লা থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম। এই মামলার পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই তারিকুল ইসলাম বলেন শাল্লার সাতপাড়ায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে তারা নিজেরাই যে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল সে মামলায় আজকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শাল্লা থানা পুলিশ তাদের পিবিআইয়ে কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানা জায় ।
এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে পিবিআইয়ের রিকুইজিশন এসেছে সেটার ভিত্তিতে রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।