Sylhet 7:38 pm, Monday, 23 December 2024

সকালে নিখোঁজের হওয়ার পরে সন্ধ্যায় শিশুর মরদেহ উদ্ধার

(বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ায় সাত বছর বয়সী একটি শিশু নিখোঁজের পর মুক্তিপণ দাবি করে একাধিক চক্র। কিন্তু শিশুটির মরদেহ পাওয়া গেছে তারই গ্রামের একটি পুকুরে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সদর উপজেলার গোকুল সরকার পাড়া গ্রামের পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভেসে ওঠে। শিশুটির নাম আরবী আক্তার। সে গোকুল সরকার পাড়া গ্রামের মো. কাজলের মেয়ে। এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান আরবী আক্তার নামের শিশুটি গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির পাশে খেলাধুলা করার সময় নিখোঁজ হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়েটির ছবি দিয়ে সন্ধান চাওয়া হয়। বিকেলের দিকে কয়েকটি মোবাইল নম্বর থেকে শিশুটির বাবার কাছে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় ফোন নম্বরগুলোর অবস্থান শনাক্ত করে। এগুলো পর্যবেক্ষণ করে অনুমান করা হয় ফেসবুকে পোস্ট দেখে প্রতারক চক্র টাকা হাতানোর জন্য ফোন করেছিল। এরইমধ্যে সন্ধ্যার পর বাড়ির কাছে পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভেসে ওঠে। পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান শিশুটি মৃগী রোগী ছিল। ধারণা করা হচ্ছে খেলাধুলার সময় সবার অজান্তে পুকুরে পড়ে যায়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

About Author Information

Sylhet Journal

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাতকে রেলওয়ের কংক্রিট স্লিপার প্লান্টে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

সকালে নিখোঁজের হওয়ার পরে সন্ধ্যায় শিশুর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : 11:13:19 am, Wednesday, 20 November 2024

(বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ায় সাত বছর বয়সী একটি শিশু নিখোঁজের পর মুক্তিপণ দাবি করে একাধিক চক্র। কিন্তু শিশুটির মরদেহ পাওয়া গেছে তারই গ্রামের একটি পুকুরে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সদর উপজেলার গোকুল সরকার পাড়া গ্রামের পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভেসে ওঠে। শিশুটির নাম আরবী আক্তার। সে গোকুল সরকার পাড়া গ্রামের মো. কাজলের মেয়ে। এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান আরবী আক্তার নামের শিশুটি গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির পাশে খেলাধুলা করার সময় নিখোঁজ হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়েটির ছবি দিয়ে সন্ধান চাওয়া হয়। বিকেলের দিকে কয়েকটি মোবাইল নম্বর থেকে শিশুটির বাবার কাছে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় ফোন নম্বরগুলোর অবস্থান শনাক্ত করে। এগুলো পর্যবেক্ষণ করে অনুমান করা হয় ফেসবুকে পোস্ট দেখে প্রতারক চক্র টাকা হাতানোর জন্য ফোন করেছিল। এরইমধ্যে সন্ধ্যার পর বাড়ির কাছে পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভেসে ওঠে। পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান শিশুটি মৃগী রোগী ছিল। ধারণা করা হচ্ছে খেলাধুলার সময় সবার অজান্তে পুকুরে পড়ে যায়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।