জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ৬নং ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হুমায়ুন কবীর, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও চারজন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০২০-২০২১ অর্থবছরে ১৫টি সরকারি প্রকল্পের ৬৫ লাখ ৮২ হাজার ২৩ টাকা আত্মসাত করায় জামালপুর দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. জিহাদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের পিপি ও দুদকের আইনজীবী এডভোকেট লুৎফর রহমান রতন।
এর আগে, রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুদকের উপরিচালক মলয় কুমার সাহা মামলাটি আমলে নিয়ে জামালপুর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে প্রেরণ করেন।
মামলায় আসামীরা হলেন ৬নং ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (সম্প্রতি মদন উপজেলায় বদলিকৃত) হুমায়ুন কবীর, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ময়না মিয়া, রবিউল ইসলাম, আতিকুর রহমান দুলাল ও জাহানারা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বরাদ্দকৃত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান (ইজিপিপি) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পের কোনো কাজ না করে কাগজে-কলমে বাস্তবায়ন দেখানো হয়। আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে ১৫টি প্রকল্পের ৬৫ লাখ ৮২ হাজার ২৩ টাকা আত্মসাত করেন। সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের এ অভিযোগ উঠলে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের পিপি ও দুদকের আইনজীবী এডভোকেট লুৎফর রহমান রতন জানান, দুদকের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৮/৪৭৭(ক)/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল ও পিআইও হুমায়ুন কবীরকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, তিনি ভাটারা ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার (প্রকল্প তদারকি কর্মকর্তা)। ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইজিপিপি প্রকল্প নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ছিল। তিনি কোনো অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত নন, কিন্তু ট্যাগ অফিসার হওয়ার কারণে তাকেও আসামী করা রয়েছে বলে দাবি করেন।