সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মোফাজ্জল হোসেন নামে স্থানীয় ইউপি সদস্যের ফুফাত ভাইকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ আটক করেছে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার ভোররাতে তাহিরপুরের রজনী লাইন সীমান্ত এলাকা থেকে টেকেরঘাট বিওপির বিজিবির সদস্যরা তাকে আটক করে।
আটক মোফাজ্জল সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের উত্তর বড়দল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সীমান্ত গ্রাম রজনী লাইনের বাসিন্দা জামালের আপন ফুফাত ভাই।
সোমবার সিলেট সেক্টরের ২৮-বিজিবি সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল একে এম জাকারিয়া কাদির ইয়াবা কারবারিকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সোমবার থানায় দেওয়া এজাহার, স্থানীয় সীমান্তবাসী, বিজিবি সূত্র জানায়, সোমবার ভোররাতে উপজেলার সীমান্ত গ্রাম রজনী লাইন এলাকা থেকে ইয়াবা বিক্রয়কালে টেকেরঘাট বিওপির বিজিবির সদস্যরা মোফাজ্জলকে আটক করেন।
এরপর তার হেফাজত থেকে ভারতীয় ১৮২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট,ভারতের তৈরী একটি হিরো মোটর সাইকেল,ইয়াবা বিক্রয়ের নগদ ৪ হাজার ৮ শত ৩০ টাকা জব্দ করে বিজিবি টহল দল।
আটকের পর সাদেক ইউপি সদস্য সীমান্তের কয়লা চোরাচালান, সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানসহ একাধিক মামলার আসামি আত্বগোপনে থাকা ইউপি সদস্য জামালের প্রভাব খাঁটিয়ে তাকে ছেড়ে দিতে নানা কৌশল অবলম্বন করে বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সোমবার উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সীমান্ত গ্রাম রজনী লাইনের বাসিন্দা জামালের নিকট জানতে চাইলে বিজিবির হাতে ইয়াবাসহ আটক মোফাজ্জলকে নিজের আপন ফুফাত স্বীকার করে বলেন, মোফাজ্জল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিনের ছেলে ইয়াবাকারবারি আলী হোসেনের ভায়রা ভাই।
ইয়াবা কারবারের সাথে নিজের কোন সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে জামাল আরো বলেন, মূলত ভায়রা ভাই আলী হোসেনের সাথে থেকে মোফাজ্জল সীমান্ত এলাকায় ইয়াবা কারবার করে যাচ্ছিল।
বিজিবি’র প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক মোফাজ্জল জানায়, ভারত থেকে ইয়াবার ওই চালান নিয়ে আসার পর চাঁনপুর, রজনী লাইন, বড়ছড়া, টেকেরঘাট, লাকমা সহ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকবছর ধরেই ইয়াবা সেবনকারিদের নিকট ও ইয়াবা কারবারিদের কাছে বিক্রয় করে আসছিলো।
বিজিবি সদস্যরা সোমবার দুপুরের দিকে মামলা দিয়ে জব্দকৃত,মোটরসাইকেল,নগদ টাকা, ইয়াবাসহ মোফাজ্জলকে তাহিরপুর থানায় সোপর্দ করেন বলে নিশ্চিত করেন থানার ডিউটি অফিসার।