Sylhet 3:59 pm, Wednesday, 22 January 2025

পাঁচবিবিতে আশা এনজিওতে ঋণ পেতে শাখা ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আশা এনজিও, ছাতিনালী শাখা কর্তৃক মৌসুমী ঋণ পেতে শাখা ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ঘুষের দাবী এবং সময়মত ঋণ না পাওয়ায় আলু বীজ রোপনের বিঘ্নতায় আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী।

১৯ (জানুয়ারি) দুপুর ০২.০০ ঘটিকার সময় পাঁচবিবি উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী মোছাঃ সহিদা বেগম সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন। ভুক্তভোগী মোছাঃ সহিদা বেগম, পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের ক্ষিদিরপুর গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের স্ত্রী। ভুক্তভোগী সহিদা বেগম জানান আমি আশা এনজিও, ছাতিনালী শাখায় দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ পর্যায়ক্রমে মৌসুমী ঋণ নিয়ে আসিতেছি এবং আমি একজন সমিতির সক্রীয় সদস্য।

ঋণ থাকা অবস্থায় আমার কোনদিন ঋণ খেলাপী হয়নি এবং আমি সমিতির নিয়ম অনুযায়ী সঞ্চয় নিয়মিত পরিশোধ করিয়া আসতেছি। পূর্বের ন্যায় আমি গত অনুমান ০৭/১১/২০২৪ ইং তারিখে যথা নিয়মে পূর্বের ঋণ পরিশোধ করিয়া নতুন মৌসুমী ঋণ নিতে গেলে শাখা ম্যানেজার মোঃ মিজানুর রহমান আমাকে বলেন যে আপনাকে কষ্ট করে টাকা জমা দিতে হবে না, আপনি আমাকে ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা দেন আমি ব্যাক্তিগতভাবে আপনার ঋণ পরিশোধ করিয়া দিব।

উল্লেখ্য যে, আমার কাছে ঋণ পরিশোধের গচ্ছিত টাকা থাকা স্বত্ত্বেও শাখা ম্যানেজার আমার নিকট থেকে ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা ঘুষ দাবী করে। পরবর্তীতে আমি শাখা ম্যানেজারের কথায় সম্মতী না হইয়া আমি আমার ঋণের সমুদয় সমস্ত টাকা গত ১১/১১/২০২৪ ইং তারিখে পরিশোধ করি নতুন মৌসুমী ঋণের জন্য।

এমতাবস্থায় শাখা ম্যানেজার উক্ত ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা না পাওয়ায় ঋণ পরিশোধের পরেও নতুন ঋণ আবেদন নামঞ্জুর করে । উক্ত ঋণ পরিশোধের পরে নতুন ঋণ না পাওয়ায় এতে করে আমার চলতি আলুর মৌসুমে প্রায় ১০ মন আলুর বীজ টাকার অভাবে সময়মত রোপন করতে না পারায় সমস্ত আলুর বীজ পঁচে/গলে নষ্ট হইলে আমি প্রায় ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হই। আমি একজন দরিদ্র পরিবারের সদস্য।

কোনমতে স্বামী, সন্তান নিয়ে মানবতর জীবন-যাপন করিয়া আসছি । আমার এই আর্থিক ক্ষতির জন্য আশা এনজিও, ছাতিনালী শাখার ম্যানেজার মোঃ মিজানুর রহমান ও ফিল্ড অফিসার মোঃ জাহিদ হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, তারা যেন ভবিষ্যতে আর কোন কৃষকের সাথে মৌসুমী ঋণ দিতে চেয়ে ঘুষ ও প্রতারণা করতে না পারে। উক্ত বিষয়ে আশা ছাতিনালী শাখার ম্যানেজার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

About Author Information

SYLHET JOURNAL

জনপ্রিয় সংবাদ

জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনের ‘ঐক্য’ নিয়ে নজরুল বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

পাঁচবিবিতে আশা এনজিওতে ঋণ পেতে শাখা ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশের সময় : 12:04:06 pm, Sunday, 19 January 2025

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আশা এনজিও, ছাতিনালী শাখা কর্তৃক মৌসুমী ঋণ পেতে শাখা ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ঘুষের দাবী এবং সময়মত ঋণ না পাওয়ায় আলু বীজ রোপনের বিঘ্নতায় আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী।

১৯ (জানুয়ারি) দুপুর ০২.০০ ঘটিকার সময় পাঁচবিবি উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী মোছাঃ সহিদা বেগম সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন। ভুক্তভোগী মোছাঃ সহিদা বেগম, পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়নের ক্ষিদিরপুর গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের স্ত্রী। ভুক্তভোগী সহিদা বেগম জানান আমি আশা এনজিও, ছাতিনালী শাখায় দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ পর্যায়ক্রমে মৌসুমী ঋণ নিয়ে আসিতেছি এবং আমি একজন সমিতির সক্রীয় সদস্য।

ঋণ থাকা অবস্থায় আমার কোনদিন ঋণ খেলাপী হয়নি এবং আমি সমিতির নিয়ম অনুযায়ী সঞ্চয় নিয়মিত পরিশোধ করিয়া আসতেছি। পূর্বের ন্যায় আমি গত অনুমান ০৭/১১/২০২৪ ইং তারিখে যথা নিয়মে পূর্বের ঋণ পরিশোধ করিয়া নতুন মৌসুমী ঋণ নিতে গেলে শাখা ম্যানেজার মোঃ মিজানুর রহমান আমাকে বলেন যে আপনাকে কষ্ট করে টাকা জমা দিতে হবে না, আপনি আমাকে ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা দেন আমি ব্যাক্তিগতভাবে আপনার ঋণ পরিশোধ করিয়া দিব।

উল্লেখ্য যে, আমার কাছে ঋণ পরিশোধের গচ্ছিত টাকা থাকা স্বত্ত্বেও শাখা ম্যানেজার আমার নিকট থেকে ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা ঘুষ দাবী করে। পরবর্তীতে আমি শাখা ম্যানেজারের কথায় সম্মতী না হইয়া আমি আমার ঋণের সমুদয় সমস্ত টাকা গত ১১/১১/২০২৪ ইং তারিখে পরিশোধ করি নতুন মৌসুমী ঋণের জন্য।

এমতাবস্থায় শাখা ম্যানেজার উক্ত ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা না পাওয়ায় ঋণ পরিশোধের পরেও নতুন ঋণ আবেদন নামঞ্জুর করে । উক্ত ঋণ পরিশোধের পরে নতুন ঋণ না পাওয়ায় এতে করে আমার চলতি আলুর মৌসুমে প্রায় ১০ মন আলুর বীজ টাকার অভাবে সময়মত রোপন করতে না পারায় সমস্ত আলুর বীজ পঁচে/গলে নষ্ট হইলে আমি প্রায় ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হই। আমি একজন দরিদ্র পরিবারের সদস্য।

কোনমতে স্বামী, সন্তান নিয়ে মানবতর জীবন-যাপন করিয়া আসছি । আমার এই আর্থিক ক্ষতির জন্য আশা এনজিও, ছাতিনালী শাখার ম্যানেজার মোঃ মিজানুর রহমান ও ফিল্ড অফিসার মোঃ জাহিদ হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, তারা যেন ভবিষ্যতে আর কোন কৃষকের সাথে মৌসুমী ঋণ দিতে চেয়ে ঘুষ ও প্রতারণা করতে না পারে। উক্ত বিষয়ে আশা ছাতিনালী শাখার ম্যানেজার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।