নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চৌমুহনী শহরের কাছারিবাড়ির মসজিদ এলাকার উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নিহত তরুণের দুই বন্ধু চুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন।
নিহত আবদুর রহমান ওরফে হৃদয় (২৪) পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। তিনি স্থানীয় একটি আসবাপত্র তৈরির প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তিনি চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর গ্রামের সওদাগর বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে।
আবদুর রহমানের ছোট ভাই মো. রিফাত জানান, তাঁর ভাই মো. রাশেল ও মো. আশিক এবং মো. হোসেন পরস্পরের বন্ধু। কিছুদিন আগে একই এলাকার মো. বাবু তাঁর ভাইয়ের বন্ধু আশিকের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ধার নেন। নির্ধারিত সময়ে পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় আশিকের পক্ষ হয়ে বাবুর বড় ভাই রনির কাছে নালিশ করেন অন্য বন্ধুরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবু গতকাল রাতে হোসেনকে তুলে তাঁদের বাড়ির ছাদে নিয়ে মারধর করেন।
এদিকে বন্ধুকে মারধরের খবর পেয়ে আবদুর রহমান, আশিক ও হোসেন ওই বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাবু তাঁদের পথ রোধ করে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন এবং আহত তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় আবদুর রহমানকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহে প্রথম আলোকে বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে হাজীপুর এলাকায় হৃদয় (আবদুর রহমান) নামের এক তরুণ ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন বলে তাঁরা তথ্য পেয়েছেন। লাশ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় বাবু নামের একজন জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনার পর বাবু সেখান থেকে পালিয়ে যান। তাঁকে ধরার চেষ্টা চলছে। নিহত তরুণের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।