নড়াইলের সেই আলোচিত বহু বিয়ের নায়ক শহিদুল ইসলাম(৩৮) নামের প্রতারকের লিঙ্গ কেটে পালিয়েছে তার কথিত প্রেমিকা। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারী) গভীর রাতে খুলনা নগরীর ফেরিঘাট মোড়ের মৌসুমী হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। আহত শহিদুল পাইকগাছা উপজেলার কমলাপুর গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে।
সে নড়াইল সদর উপজেলার জঙ্গল গ্রাম পূর্বপাড়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় শিক্ষকতা করেন। মৌসুমী আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার মো. কাউয়ুম জানান, শহিদুল ইসলাম ও তার কথিত প্রেমিকা রাত ৮ টার দিকে হোটেলে আসেন এবং নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলের চতুর্থ তলার ২ নম্বর কক্ষে অবস্থান করেন। রাত আড়াইটার দিকে, শহিদুলের কথিত স্ত্রী ম্যানেজার কাউয়ুমকে ঘুম থেকে ডেকে ওঠান এবং তাকে ওই কক্ষে নিয়ে যান।
সেখানে শহিদুলের শরীরে রক্ত দেখে কাউয়ুম বিষয়টি জানতে চাইলে, শহিদুল তার পাইলসের সমস্যা আছে বলে জানান। তিনি বলেন, তাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে হবে। পরবর্তীতে, শহিদুলকে ইজিবাইকে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্লেড উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে জানানো হলে, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কথিত প্রেমিকের বিষয়ে জানতে চাইলে হোটেল ম্যানেজার মো. কাউয়ুম জানান, শহিদুলকে হাসপাতালে রেখে আশা নামের ওই নারী সটকে পড়ে।
উল্লেখ যে ওই প্রতারক শহিদুল ইসলাম একাধিক নারীর সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে গত বছর ২৯ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে প্রতারক শহিদুলের বিরুদ্ধে প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকা নিউজ প্রকাশিত হয়। নিউজের পরে ওই প্রতারক শহিদুল ইসলাম সাংবাদিককে মুঠোফোনে প্রাননাশের হুমকি দেয়। তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে বহু বিয়ের নামে একাধিক নারীর সাথে সে অবৈধ সম্পর্ক করে প্রতারণা করেছে এবং ১৬ জন নারীকে বিয়ের নামে প্রতারণা করে থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। এবিষয়ে শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে জানতে চাইলে সে ফোনটি কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।