ইউএস চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন প্রবণ এলাকাগুলোর টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউএসএআইডির “হোস্ট অ্যান্ড ইমপ্যাক্টেড কমিউনিটি রেজিলিয়েন্স অ্যাক্টিভিটি” শীর্ষক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
কর্মসূচিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কক্সবাজার ও পার্বত্য এলাকার বহুমুখী পণ্য যেমন বাঁশ, বেত, হস্তশিল্প, মধু, ও পাহাড়ি ফল দেশের বাজারে প্রসারে একটি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা জরুরি। পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের বড় শহরগুলোতে প্রদর্শনী ও বিপণন কেন্দ্র স্থাপন করলে বাজার সম্প্রসারণ সহজ হবে। সরকার, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সহযোগীদের যৌথ সহযোগিতায় প্রচারণা চালিয়ে স্থানীয় পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বৃদ্ধি করা দরকার।
তিনি বলেন, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার বাড়িয়ে পণ্যগুলোকে অনলাইনে জনপ্রিয় করা সম্ভব। এর মাধ্যমে উৎপাদকরা ন্যায্যমূল্য পাবেন এবং স্থানীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও ইউএসএআইডির এই যৌথ উদ্যোগ কোনো সম্প্রদায় যেন পিছিয়ে না পড়ে তা নিশ্চিতে সহায়ক হবে। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন, সাম্য ও সামাজিক ঐক্যের জন্য আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একটি ফটো গ্যালারি, কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও প্রদর্শনী এবং ডিজিটাল ফিতা কেটে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে ফ্রেন্ডস অব ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশের সভাপতি মঞ্জুর আহমেদ এবং প্রকল্প প্রধান ট্রিনা বিশপ বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠানে নীতিনির্ধারক, উন্নয়ন অংশীদার এবং কমিউনিটি প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়গুলোর স্থিতিশীলতা বাড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।