জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে জিয়াউল আহসানের করা আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। শুনানিতে আদালত বলেন, জিয়াউল আহসানের আবেদন গ্রহণযোগ্য না।
এর আগে ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের নিয়োগ ও ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ এবং মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি পাওয়া মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান। জিয়াউল আহসানের পক্ষে শুনানি করেন তার বোন নাজনীন নাহার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর শাইখ মাহদী ও তারেক আব্দুল্লাহ। গত সোমবার শুনানি শেষে বুধবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল।
আদেশের পর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, জিয়াউল আহসানের পক্ষ থেকে আবেদন করে বলা হয়েছিল যুদ্ধ না হলে মানবতাবিরোধী অপরাধ হয় না। যার কারণে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার এই ট্রাইব্যুনালে হবে না। তারা বলেছিল যেহেতু সংসদ নেই, তাই অধ্যাদেশ জারি করে আইনের যে সংশোধনী আনা হয়েছে তা অবৈধ। এজন্য তার বিচার এখানে হবে না। এছাড়া গুম শব্দটি ২০২৪ সালে আইন সংশোধন করে যুক্ত করা হয়। তারা বলেছে ভুতাপেক্ষতা দিয়ে এখানে গুমের বিচার করা যাবে না। তাদের এসব আবেদন আদালত খারিজ করে দেন। আদালত বলেছেন, যে আইন দ্বারা এই ট্রাইব্যুনাল গঠিত তা চ্যালেঞ্জ করার জায়গা এই ট্রাইব্যুনাল নয়।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, যেসব বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তা এখানে অপ্রাসঙ্গিক। এখানে সাংবিধানিক কোনো বিষয়ে শুনানির সুযোগ নেই। ১৯৭৩ সালের আইনে বলা হয়েছে আগে বা পরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ বা আন্তর্জাতিক আইনে কোনো অপরাধের বিচার করা যাবে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা লাভজনক কোনো পদে যেতে পারবেন না বলে আবেদনে বলা হয়েছে। অথচ এটি কোনো লাভজনক পদ নয়। মূলত মিডিয়ার দৃষ্ট আকর্ষণ করতেই এই আবেদন করা হয়েছে।