বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ার আদেশ দিয়েছেন দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোভিড-১৯ মহামারিসহ অন্যান্য বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগে সোমবার (২০ জানুয়ারি) অভিষেকের দিনই সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
অভিষেক অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে ট্রাম্প বলেন, ডব্লিউএইচও আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেয়েছে। এতদিন বাকিরাও সেটি করে এসেছে। এসব চলতে দেয়া হবে না।
সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অন্যায্য রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে ডব্লিউএইচও। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সংস্থাটি অযৌক্তিক ও একপাক্ষিকভাবে অনেক বেশি অর্থ নিয়ে থাকে। অথচ বড় অর্থনীতির চীনের কাছ থেকে নেয় যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক কম। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে ডব্লিউএইচও’র কোনও বক্তব্য পায়নি রয়টার্স।
প্রথম মেয়াদেও ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরানোর চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। কোভিড ইস্যুতে বিশ্বকে বোকা বানিয়ে চীনকে সহায়তা করার জন্য সংস্থাটিকে অভিযুক্ত করেন তিনি।
ডব্লিউএইচও’র বড় অর্থ সহায়তাকারী যুক্তরাষ্ট্র। এর তহবিলের ১৮ শতাংশ আংকেল স্যামের অবদান। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে এক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ বাতিল এবং সংস্থাটির বিপুল পরিমাণ অর্থের জোগান বন্ধ হয়ে যাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংস্থাটির গুরুত্বপূর্ণ অনেক কর্মসূচি বিশ্বজুড়ে চলমান। যক্ষ্মা, এইডসের মতো ভয়াবহ রোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি যাচাই ও প্রতিকারের উপায় বের করতে কাজ করছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র চলে গেলে সংস্থাটির কর্মসূচি ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়েছে, প্রত্যাহার পর্ব চলাকালে সংস্থাটির সঙ্গে মহামারি চুক্তি বাতিলের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবেন সংশ্লিষ্টরা। এ সংস্থায় কর্মরত মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে এনে নতুন দায়িত্ব দেয়া হবে। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ইস্যু নিয়ে কাজ করার জন্য বিকল্প অংশীদারও খুঁজে বের করবে সরকার।