দোয়ারাবাজারে সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি থাকার ফলে চলাচল করতে চরম ভোগান্তির শিকার

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ঘিলাতলী ব্রিজের দুই মাথায় সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের দু’টি খুঁটি পূর্বে থেকেই ছিল নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে কিন্ত বিদ্যুতের দু’টি খুঁটি দুই পাশ্বে এখনো রয়েছে দ্রুত বিদ্যুতের খুঁটি সরানো না হলে এতে কোন কাজেই আসছে না ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রিজটি।

নতুন ব্রিজের কাজ প্রায় ১বছর আগে শেষ হয়েছে। সড়ক থেকে বাংলাবাজার যাতায়াতের সড়কের পাকাকরণ কাজ ও শেষ হয়েছে মাস দু’য়েক আগে। কিন্তু সেই ব্রিজের পূর্ব ও পশ্চিম দু’পাশে সড়কের ঠিক মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। এ দৃশ্য দেখা গেছে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ঘিলাতলী নদীর ওপর সেতু ও সংযোগ সড়কের। ব্রিজ ও রাস্তা পাঁকা করণ হলেও রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি থাকার ফলে চলাচল করতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে ছোট-বড় যানবাহন গাড়ীগুলো নিয়ে।

স্থানীয়রা বলেন,বাংলাবাজার-নরসিংপুর দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের দূর্ভোগ দূরীকরণে ব্রিজ ও সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করা হয়। বাংলাবাজার ইউনিয়নের ঘিলাতলী গ্রামের (মরাচেলা) নদীর ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। প্রায় ছয় মাস আগে ঠিকাদার সেতুর এপ্রোচ ও গতমাসে সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করেছেন।

তবে সড়কের কাজ শেষ হলেও সড়কের পশ্চিম পাশে সড়কের ওপর একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ও পূর্বপাশে এপ্রোচ সড়কে রয়েছে আরেকটি বিদ্যুতিক খুঁটি। এর ফলে এলাকাবাসীর দূর্ভোগ পোহানোর স্থলে বেড়েছে দ্বিগুন।

গিলাতলী গ্রামের নিয়মিত যাতায়াতকারী বাংলাবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আইন উদ্দিন বলেন, ‘এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন জায়গায় চলাচল করতে হয়। একই সড়কের ওপর ২ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকার কারণে দু’চাকার মোটরসাইকেল ব্যতিত আর কোন যানবাহন চলাচল করতে চরম ভোগান্তিতে।

স্থানীয় বড়খাল স্কুল এন্ড কলেজে এসএসসি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা বলেন, এ সড়ক দিয়ে নরসিংপুর ইউনিয়নের ৩ টি স্কুল ও ৩ টি মাদ্রাসার পরিক্ষার্থী আসা-যাওয়া করছেন। একাধিক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এ সড়ক থেকে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো দ্রুত সরিয়ে নিলে তাঁরা শঙ্কামুক্ত হবেন।

এলজিইডি দোয়ারাবাজার উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কৃষি ভান্ডার খ্যাত বাংলাবাজার ইউনিয়ন -নরসিংপুর ইউনিয়নের মানুষের চলাচলে ঘিলাতলী ( মরা চেলা) নদী উপর ৫১ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যায় হয় ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ব্রিজের এপ্রোচে ব্যায় হয় ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যায়ে সম্পন্ন করা হয় ব্রিজ।

এলজিইডি দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল হামিদ বলেন, রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি থাকার কারনে এখনো কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছেনা। বিষয়টি বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে।

দোয়ারাবাজার উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসের (এজিএম) জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাবাজার ঘিলাতলী ব্রিজের সড়কের মধ্যে বিদ্যুতের খুঁটির বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। অল্প দিনের ভিতরে বিদ্যুতের খুঁটি স্থানান্তর করা হবে।