ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে বিজিবির মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে এবং ওই মামলা হতে যুবদল নেতা জামাল তালুকদার কে অব্যাহতি দিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তার পরিবার। তিনি উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়ন যুবদল নেতা ও ব্যবসায়ী।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজারে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও মেসার্স হাসনারা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এরশাদ তালুকদার বলেন, আমারা দীর্ঘ সতেরো বছর নির্যাতিত ছিলাম। ফ্যাসিবাদ সরকার পতনের পরও একশ্রেণির রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইন্ধনে আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।
সম্প্রতি উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের বাগানবাড়ি সীমান্তে চোরাকারবারি ও বিজিবি'র মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বিজিবি'র কাছ থেকে সীমান্ত কারবারিরা গরু ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনায় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এইদিনের ঘটনা ভিডিও ফুটেজে প্রকাশ হলেও পরবর্তীতে বিজিবি'র করা মামলায় ষড়যন্ত্র মুলকভাবে আমার ছোট ভাই যুবদল নেতা জামাল তালুকদারের নামও জড়িয়ে দেয়। অথচ ওই ঘটনাটি আমাদের এলাকারই নয়। অন্য একটি ইউনিয়ন সীমান্তের ঘটনায় আমার ভাইয়ের নাম জড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার পরিবার বিএনপি'র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমার প্রয়াত পিতা আব্দুল কাইয়ুম তালুকদার বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার ভাই জামাল তালুকদার চৌধুরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট ছিল। ওইদিন আওয়ামীলীগ তাদের দোসররা আমার ভাইকে বেধড়ক মারপিট করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। শুধু মাত্র বিএনপি'র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় আমি ২০১৭ সালে ১ মাস কারাভোগ করেছি। সিলেট এমসি কলেজে অধ্যায়নরত আমার আপন দুই ভাই ছাত্রদল নেতা নবী তালুকদার ও সাদ্দাম তালুকদার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিল। এ কারণে তারা দুইজন টানা উনিশ দিন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছিল।
তিনি বলেন, যারার অহেতুক আমার ভাইকে বিজিবি'র মামলায় জড়িয়েছে এরা আমাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। বিজিবি'র মামলার সঠিক তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে জড়ানো জামাল তালুকদার নাম প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
সাংবাদিক সম্মেলনে জামাল তালুকদারের পরিবারের লোকজনসহ স্থানী ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।