সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বজ্রপাতে রিংকু দাস (৩০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। বৃহস্পতিবার (১ মে ) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের পাশে হাওরে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত রিংকু দাস গোপালপুর গ্রামের মৃত রনধীর দাসের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের মামা একই গ্রামের সুবীর দাস।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাওর থেকে ট্রলিতে করে ধান নিয়ে গোপালপুর গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন রিংকু দাস। তার সঙ্গে ছিলেন একই গ্রামের ননী গোপাল দাসের ছেলে কালিপদ দাস (৪২) ও যজ্ঞেশ্বর দাসের ছেলে রাজেশ দাস (৩৫)। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রিংকু দাস। অপর দু’জন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মনি রানী তালুকদার রিংকু দাসকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত কালিপদ দাসকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত রাজেশ দাসকে আশংকাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
দিরাই থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক ও দিরাই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মনি রানী তালুকদার বজ্রপাতে ১ জন নিহত ও দু’জন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দিরাই থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, হাওরটি শাল্লা থানায় হওয়ায় এবিষয়ে শাল্লা থানা পুলিশ আইনগত পদক্ষেপ নেবেন।