নিষিদ্ধ পলিথিনে জগন্নাথপুর সয়লাব, দুষিত হচ্ছে পরিবেশ

ডেস্ক নিউজঃ

জগন্নাথপুরের সবকটি হাট-বাজারে অবাধে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ। কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে মুদির দোকানে ব্যবহার হচ্ছে এই ব্যাগ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও কৃষি জমি। দূষণ ঠেকাতে প্রশাসনের নেই কোনো উদ্যোগ।
পরিবেশ রক্ষায় ২০০২ সালে পলিথিন এর শপিং ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করে সরকার। এছাড়া পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পলিথিনে তৈরী ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাত করণ, বিক্রি ও বিক্রির জন্য প্রদর্শন সহ মজুত-বিতরণ নিষিদ্ধ। এর ব্যাতিক্রম হলে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু ৬মে রোজ মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় ও জানা গেছে, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর জগন্নাথপুর বাজার , কলকলিয়া বাজার, মীরপুর বাজার, চিলাউড়া বাজার, রানীগঞ্জ বাজার, কেশবপুর বাজার ও শ্রীরামসি বাজার সহ সবকটি ছোট-বড় হাট-বাজারে এই আইন লঙ্ঘন করে পাইকারী ও খুচরায় সরকার নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগ ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এবং কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে মুদির দোকানে এই ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে। ক্রেতারা বাড়ীতে ফিরে এই ব্যাগ যত্রতত্র ফেলে দেওয়ার কারনে অপচনশীল এদ্রব্যে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও ক্ষতি হচ্ছে কৃষি জমির। কেননা ভূগোল ও পরিবেশ বিশ্লেষকদের মতে, পলিথিন পচনশীল প্লাস্টিক হওয়ায় দীর্ঘদিন পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকে। এতে মাটি ও পানি দুষিত হয়। মাটির উর্বরতা শক্তি ও গুন নষ্ট হয়ে ফলন কমে। পলিথিন এর রাসায়নিক উপাদান গাছপালা, উদ্ভিদ ও মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর। বিধায় ক্ষতির পলিথিন এর ব্যবহার ও বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এর জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন জগন্নাথপুর এর সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ মজুদ করে পাইকারী ও খুচরা বিক্রয়কারী একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, কম দামে ক্রয়বিক্রয় করা যায় বলেই এই ব্যাগ মজুদ করে ব্যবসা করছি। কাঁচাবাজার ও মুদির দোকানী ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছ থেকে নেন। এতে আমরা উভয় ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছি। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, আমরাতো মাদক ব্যবসা করছি না। ফেরীআলারা দিয়ে যাচ্ছে। ঘরে বসে ব্যবসা করছি। আমরা না পাইলে ব্যবসা করবোনা। প্রশাসনিক ভাবে কোনো বাধা এখনো পাইনি।
সবজি ও মুদির দোকানের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, কোনো ক্রেতা ব্যাগ নিয়ে বাজারে আসেন না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে পলিথিন এর ব্যাগে বাজার দেই। বাজার পলিথিনে না দিলে ক্রেতা পাওয়া যায়না। তাই আমরা দিয়ে থাকি।
এ ব্যাপারে কৃষির সাথে জড়িত রাকিব, তারা মিয়া, তোড়ন মিয়া, শাহীআলম ও শহীদুল ইসলাম সহ একাধিক কৃষক বলেন, যত্রতত্র ফেলে দেওয়া পলিথিন শপিং ব্যাগ ও প্লাস্টিক বর্জ্য বর্ষা মৌসুমে পানির স্রোতে ভেসে কৃষি জমির উপর পরে। জমি চাষা-বাদকালে সঠিকভাবে হাল-চাষ করা যায়না। যার ফলে ফলন কম হয়। অপচনশীল এই পলিথিন ব্যাগ বাজারজাত করণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।