সিলেটের প্রথম বেসরকারি লিডিং ইউনিভার্সিটির সামার সেমিস্টার ২০২৫ এর নবীনবরণ অনুষ্ঠান গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন প্রোগ্রামের নতুন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিন অতিবাহিত করেন আনন্দমুখর পরিবেশে। শিক্ষার্থীদের সাথে বিপুল সংখ্যক অভিভাবকও উপস্থিত ছিলেন। অভিভাবকগণ প্রাকৃতিক ছায়াঘেরা লিডিং ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস ও অবকাঠামো দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর ড. রাগীব আলী বলেন. সন্তানদের সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। জ্ঞান অর্জনের জায়গা হলো বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে রয়েছে বিশ্ব সম্পর্কে জানার এবং নিজের দেশকে উন্নয়নের লক্ষ্যে নেতৃত্বদানে নিজেকে তৈরি করার সুযোগ। তাই, বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর পর প্রত্যেক অভিভাবক তাদের সন্তানরা কি করছে, পড়াশোনার উন্নতি কতটুকু হচ্ছে, এসব বিষয়ে খোঁজ খবর রাখার পরামর্শ দেন। অভিভাবকদের মাঝে মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শিক্ষকদের সাথে কথা বলার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দিবে। তাদের মাধ্যমেই উন্নত আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। তারা সুশিক্ষা না পেলে ভবিষ্যতে দেশ কঠিন অবস্থায় পড়বে।
দানবীর ড. রাগীব আলী আরো বলেন, এদেশে এখন অনেক কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তাই, উচ্চশিক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদেশ নয়, দেশে থেকে নিজের দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ থেকে আমরা একটি পরিবার। এখানে শিক্ষার্থীদের সবাইকে একসাথে থেকে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার কথা বলেন তিনি। পরিশেষে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত অভিভাবকসহ সবার সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবন কামনা করেন।
নবীন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন বলেন, লিডিং ইউনিভার্সিটিতে উচ্চ শিক্ষার জন্য তোমরা নতুন যাত্রা শুরু করেছ, এটি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম লিডিং ইউনিভার্সিটি। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার লক্ষ্যেই লিডিং ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর ড. রাগীব আলী। শহর থেকে একটু দূরে সুন্দর পরিবেশে এ বিশ্ববিদ্যালয় উত্তরোত্তর উন্নতি লাভ করছে।
আজকের এ শিক্ষার্থীরাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব বয়ে আনবে। তাই, পড়াশোনা করে নিজের পরিবার এবং সিলেটসহ দেশের উন্নয়নে নিজেকে তৈরি করতে হবে। আর তার জন্য উপযুক্ত শিক্ষা পরিবেশ এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, লিডিং ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে অভিজ্ঞ শিক্ষক এবং আধুনিক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, উন্নত নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে বিভিন্ন ক্লাব, সোসাইটি এবং গবেষণা কেন্দ্র। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যথাযথ শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে সমাজ ও দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, এখানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতার জ্ঞান প্রদান করা হয়। যাতে তারা জ্ঞান লাভ করে ভালো মানুষ হতে পারে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, লিডিং ইউনিভার্সিটি হলো সঠিক জায়গা, যেখানে রয়েছে পড়াশোনার সুন্দর পরিবেশ। তিনি শিক্ষার্থীদের বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা অর্জনের উপর গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। সেইসাথে সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় কালচার চর্চা করার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম।
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভুঁইয়া, আধুনিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুজ জামান ভুঁইয়া, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম, প্রক্টর মো. মাহবুবুর রহমান, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. মো. আব্দুল মজিদ মিয়া এবং সকল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের পক্ষে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ শাহানশাহ মোল্লা।
অনুষ্ঠানে লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান, পরিচালক অর্থ ও হিসাব মোহাম্মদ কবির আহমেদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. কবির আহমেদ, লাইব্রেরিয়ান মো. আব্দুল হাই ছামেনী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নবীন শিক্ষার্থী হিসেবে অনুভূতি ব্যক্ত করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী কাকলি শাহ পূজা।
লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মিসেস জহুরা জামিন জোহা এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক মো. মামুনুর রশিদের সঞ্চালনায় নবীনবরণ অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জামেউর রহমান। পবিত্র গীতা পাঠ করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী প্রিয়া বণিক।