উজানেও ভারী বর্ষণ , বি প দ সিলেটের

  • আপডেট টাইম : জুন ০১ ২০২৫, ২২:৫৫
  • 38 বার পঠিত
উজানেও ভারী বর্ষণ , বি প দ সিলেটের

মেহেদী হাসান অপুর্ব

টানা ৪ দিন পর বেশ লম্বা কয়েকটি ঘন্টা বৃষ্টিহীন সিলেট। পূর্বাভাস আছে ভারী বর্ষনের। সঙ্গে বজ্রবৃষ্টির। আকাশেও মেঘের আনাগোনা। তবে বৃষ্টি আর ঝরছেনা।

রবিবার (১ জুন) দুপুরের পর থেকে সিলেট অঞ্চল বৃষ্টি মুক্ত। রাত সাড়ে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত মোটামুটি স্বস্তি বিরাজ করছে। মানুষ ঘরের বাইরে বের হয়েছেন। রাস্তাঘাটে কিছুটা গাড়ির চাপও আছে, যা গত ৩/৪ দিন দেখা যায়নি।

দেখা যাবেইবা কিভাবে? টানা বৃষ্টি ঝরছে সেই বুধবার রাত থেকে। প্রথমে কিছুটা হাল্কা, তারপর ভারী এবং অতিভারী। এরমধ্যে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে গত ২৪ ঘন্টায়। এ সময়ে ৪০৪ দশমিক শূণ্য ৮ মিলিমিটার। আর সন্ধ্যা পর্যন্ত হিসাবে এ অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে আরও ৩০ মিলিমিটারের কিছুটা বেশী।

তবে বৃষ্টি না ঝরলে কি হবে, আগামী ২৪ ঘন্টায়ও সিলেট অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়ে রেখেছে সিলেট আবহাওয়া অফিস।

সিলেটের অবস্থা যখন এমন তখন উজানে ভারতের আসাম এবং মেঘালয়ে কিন্তু যথারীতি ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। এ অবস্থায় স্বস্তির কোনো অবকাশ নেই। বৃষ্টি না থাকলেও উজানের বৃষ্টির পানি কিন্তু ঢল হয়ে নেমে এসে বন্যায় ভাসিয়ে দিতে পারে গোটা সিলেট অঞ্চল।

বন্যা সতর্কীকরণ ও পূণর্বাসন কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারতের উজানে গত ২৪ ঘন্টায়ও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিশেষ করে আসাম ত্রিপুরা মেঘালয় অরুনাচল ও মিজোরামে।

আসামের সিলচরে শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৪১৬ মিলিমিটার। মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে একই সময়ে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১২২, অরুনাচলের পাসিঘাটে ১১৭, মিজোরামের আইজলে ৬৬. ত্রিপুরার আগরতলায় ১০৭ ও কৈলাশহরে ১৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

প্রতিদিন উজানের এত এত পানি নামতে হয় এই বাংলাদেশের সুরমা-কুশিয়ারা-মুন-খোয়াই বা লুবাছড়া, সারি, সারিগোয়াইন বা ডাউকি হয়ে। সেখানে বৃষ্টি হতে পারে আরও কয়েকদিন। এ অবস্থায় বন্যা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়েই রাখতে হচ্ছে সিলেটবাসীকে

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর