বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার কবি শাহিন আলম ভারতের আসাম রাজ্যের স্বনামধন্য সঙ্গীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান "মাটির খাঁচা"-র জন্য লিখছেন একশটি মৌলিক গান। ইতোমধ্যে বেশ কিছু গীত রচনা সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি গুলোর কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
এই বিশাল গীত-প্রকল্প সম্পর্কে অনুভূতি জানাতে গিয়ে কবি শাহিন আলম বলেন,
"এই মাটির খাঁচার মাধ্যমেই আমি প্রথম সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করি। প্রযোজক দানেশ আলী যখন বলেন, 'ভাই, আমাদের ১০০ লিরিকস লাগবে, আপনি লিখে দিন'—তখন সত্যি আমার মনে অসীম আনন্দ কাজ করে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান আমাকে গানের দায়িত্ব দিলে সেটা আমার জন্য সম্মানের। আমি সাথে সাথেই চুক্তিবদ্ধ হয়ে লেখার কাজ শুরু করি।"
গানগুলোর মধ্যে কিছু গানে সুর দিয়েছেন জনপ্রিয় সুরকার ও শিল্পী শাহিন নুর এবং সঙ্গীত পরিচালনা করছেন আরফান আলী। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সালমা পারভিন, লারজিনা পারভিন, ছাইনা সরকার ও হামিদ আলীসহ একাধিক শিল্পী। সুর ও সংগীতায়নের কাজ এখনো প্রক্রিয়াধীন।
শাহিন আলম শুধু বাংলাদেশেরই নয়, দুই বাংলার সঙ্গীত অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন আন্তর্জাতিক গীতিকার হিসেবে। তিনি একাধারে কবি, গীতিকার, সুরকার ও অভিনেতা। তাঁর গানে রয়েছে বাউল, প্রণয়, বিচ্ছেদ, ইসলামি সংগীত, গজল এবং দেশীয় সঙ্গীত ধারার সৌন্দর্য।
তিনি যেসব সঙ্গীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তার মধ্যে রয়েছে:
"মাটির খাঁচা", "মুক্ত পাখি", "মুক্ত খাঁচা", "এনকে মিউজিক গ্যালারী", "এনকে টিউন টোয়েন্টিফোর", "নাশীদ ফিল্ম", "মুক্তিকুড়ি স্টুডিও", "এমএইচ মিউজিক ০৭", "আকাশ মিউজিক স্টেশন" এবং "এলজিই প্রোডাকশন"।
তার লেখা “সুখে আছো বন্ধু তুমি” অডিও অ্যালবামটি "মুক্তপাখি" রেকর্ড লেবেল থেকে প্রকাশিত হয়ে শ্রোতামহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, তাঁর লেখা সিলেটি ভাষার গান গেয়েছেন ব্রিটিশ শিল্পী আকিক হারুন, যা বাংলা গানের জগতে আন্তর্জাতিকতাকে তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে কবি শাহিন আলমের এই অনবদ্য যাত্রা নতুন প্রজন্মের গীতিকার ও শিল্পীদের জন্য নিঃসন্দেহে এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।