Sylhet 7:57 pm, Monday, 23 December 2024

দোয়ারাবাজারে প্রবাসীর স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত থাকায় স্বামীর নানান অভিযোগ

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার জাহাঙ্গীর গাও গ্রামের মৃত্যু সুরুজ আলীর পুত্রবধূ নাইমা আক্তার বিভিন্ন সময় পর পুরুষের সাথে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকায় শাশুড়ি পিয়ারা বেগম প্রতিবাদ করিলে তার উপরে অমানবিক মারপিটের ঘটনা না ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জাহাঙ্গীরগাঁও গ্রামে।

নাইমা আক্তার (২৩) পিং এখলাছ মিয়া,সাং মুড়াদপুর দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ।নাইমাকে বিয়ে করানোর পর ২ মাসও মারে সাথে নিয়ে ঘর সংসার করতে পারে না। ইসমতের ঘরে কাজ করতে গেলে,টিন নিয়ে যায় নাইমা। আমি জিজ্ঞেস করিলে আমার উপর মারপিঠ করে নাইমা। তখন মেয়ে মাসুদা দেখে মা- কে ফিরাইতে গেলে নাইমা ডান হাতের আঙ্গুলে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত যখম করে।এভাবে আমাকে তিন বার ছেলের বউয়ের হাতে মারপিঠ খাইতে হয়েছে।নাইমা সামিউদ্দিনের ছেলের সাথে অবৈধভাবে সম্পর্কে জড়িয়ে পরেছে।মান্নান ডাক্তারের ছেলের সাথে অবৈধভাবে বর্তমানে সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছে মর্মে অভিযোগ এনেছে ছেলের মা-পিয়ারা বেগম।ন্যায়ায় বিচার ও তার প্রতিকার চাই।
সৌদিপ্রবাসী স্বামী সাংবাদিকদের মোবাইলে স্ত্রী নাইমার পরকীয়া সম্পর্কের কথা ও প্রমাণাদি সহ মোবাইলের মেসেজ,স্ত্রীর পর পুরুষের আলাপের প্রমাণাদি স্ক্রিনশট সহ মোবাইলে পাঠিয়ে ন্যায়বিচার ও সঠিক বিষয়গুলো ধরে তুলার অনুরোধ জানান। তিনি আরও বলেন,আমার ফুটফুটে একটি শিশু সন্তান আছে। সন্তানটির চিন্তা করে আমি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করিয়ে আমার স্ত্রী নাইমা কে ওমরা হজ্ব করাতে নিয়ে আসি।সেখানে আল্লাহর ঘরে নিয়ে তাকে সকল ধরনের ভুল পথে চলাফেরা থেকে বিরত থাকবে বলে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চেয়েছিল, তাই আমি ও তার সব ভূল ক্ষমা করে দিয়েছিলাম। এর পরেও তাকে শোধরাইতে পারলাম না। সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার পথে সে চলুক আমার পথে আমি চলি।
জানতে চাইলে নাইমা খাতুন সাংবাদিকদের নিকট কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, আমার শাশুড়ী ৬ মাস পূর্বে আমাকে মারপিট করে আমার দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছে। আমার ডান হাতের একটি আঙ্গুল ভেঙ্গে দিয়েছে। খবর পেয়ে আমার মা -আমাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করেছেন। আমার স্বামীর কাছে বিচার চাইলে আমার স্বামী কোন বিচার, চিকিৎসার খরচ কোনটাই পাইনি। আমি নিরুপায় হয়ে আমার একটি শিশু সন্তান নিয়ে মানবেতোর জীবন যাপন করছি। তার পরেও আমার একটি শিশু সন্তানের চিন্তা করে স্বামীর ঘর করতে চাই। পূর্বের ঘঠনাটি আমাকে পাষানো হয়েছে।আমার পর পুরুষের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। স্বামীকে ভূল বুঝানো হয়েছে। আমার উপর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। সবকিছু ভুলে গিয়ে সন্তানের প্রতি চিন্তা করে স্বামীর ঘরে থাকতে চাই। আমি সকলের সহযোগিতা ও ন্যায় বিচার কামনা করছি।

About Author Information

SYLHET JOURNAL

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাতকে রেলওয়ের কংক্রিট স্লিপার প্লান্টে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

দোয়ারাবাজারে প্রবাসীর স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত থাকায় স্বামীর নানান অভিযোগ

প্রকাশের সময় : 04:43:40 am, Thursday, 10 October 2024

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার জাহাঙ্গীর গাও গ্রামের মৃত্যু সুরুজ আলীর পুত্রবধূ নাইমা আক্তার বিভিন্ন সময় পর পুরুষের সাথে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকায় শাশুড়ি পিয়ারা বেগম প্রতিবাদ করিলে তার উপরে অমানবিক মারপিটের ঘটনা না ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জাহাঙ্গীরগাঁও গ্রামে।

নাইমা আক্তার (২৩) পিং এখলাছ মিয়া,সাং মুড়াদপুর দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ।নাইমাকে বিয়ে করানোর পর ২ মাসও মারে সাথে নিয়ে ঘর সংসার করতে পারে না। ইসমতের ঘরে কাজ করতে গেলে,টিন নিয়ে যায় নাইমা। আমি জিজ্ঞেস করিলে আমার উপর মারপিঠ করে নাইমা। তখন মেয়ে মাসুদা দেখে মা- কে ফিরাইতে গেলে নাইমা ডান হাতের আঙ্গুলে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত যখম করে।এভাবে আমাকে তিন বার ছেলের বউয়ের হাতে মারপিঠ খাইতে হয়েছে।নাইমা সামিউদ্দিনের ছেলের সাথে অবৈধভাবে সম্পর্কে জড়িয়ে পরেছে।মান্নান ডাক্তারের ছেলের সাথে অবৈধভাবে বর্তমানে সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছে মর্মে অভিযোগ এনেছে ছেলের মা-পিয়ারা বেগম।ন্যায়ায় বিচার ও তার প্রতিকার চাই।
সৌদিপ্রবাসী স্বামী সাংবাদিকদের মোবাইলে স্ত্রী নাইমার পরকীয়া সম্পর্কের কথা ও প্রমাণাদি সহ মোবাইলের মেসেজ,স্ত্রীর পর পুরুষের আলাপের প্রমাণাদি স্ক্রিনশট সহ মোবাইলে পাঠিয়ে ন্যায়বিচার ও সঠিক বিষয়গুলো ধরে তুলার অনুরোধ জানান। তিনি আরও বলেন,আমার ফুটফুটে একটি শিশু সন্তান আছে। সন্তানটির চিন্তা করে আমি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করিয়ে আমার স্ত্রী নাইমা কে ওমরা হজ্ব করাতে নিয়ে আসি।সেখানে আল্লাহর ঘরে নিয়ে তাকে সকল ধরনের ভুল পথে চলাফেরা থেকে বিরত থাকবে বলে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চেয়েছিল, তাই আমি ও তার সব ভূল ক্ষমা করে দিয়েছিলাম। এর পরেও তাকে শোধরাইতে পারলাম না। সিদ্ধান্ত নিয়েছি তার পথে সে চলুক আমার পথে আমি চলি।
জানতে চাইলে নাইমা খাতুন সাংবাদিকদের নিকট কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, আমার শাশুড়ী ৬ মাস পূর্বে আমাকে মারপিট করে আমার দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছে। আমার ডান হাতের একটি আঙ্গুল ভেঙ্গে দিয়েছে। খবর পেয়ে আমার মা -আমাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করেছেন। আমার স্বামীর কাছে বিচার চাইলে আমার স্বামী কোন বিচার, চিকিৎসার খরচ কোনটাই পাইনি। আমি নিরুপায় হয়ে আমার একটি শিশু সন্তান নিয়ে মানবেতোর জীবন যাপন করছি। তার পরেও আমার একটি শিশু সন্তানের চিন্তা করে স্বামীর ঘর করতে চাই। পূর্বের ঘঠনাটি আমাকে পাষানো হয়েছে।আমার পর পুরুষের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। স্বামীকে ভূল বুঝানো হয়েছে। আমার উপর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। সবকিছু ভুলে গিয়ে সন্তানের প্রতি চিন্তা করে স্বামীর ঘরে থাকতে চাই। আমি সকলের সহযোগিতা ও ন্যায় বিচার কামনা করছি।