জালালাবাদ রোটারী হসপিটালের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন স্টাফরা।

প্রকাশিত: ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫

জালালাবাদ রোটারী হসপিটালের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন স্টাফরা।

জালালাবাদ রোটারী হসপিটালের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন স্টাফরা। তারা হাসপাতালের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। আজ শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত এ কর্মসূচী পালন করা হয়। 

 

তাদের দাবি, বেতন বৃদ্ধি না হওয়া এবং ওভারটাইম বন্ধ করে দেয়ার বিষয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সুহেব আহমদ মতিন তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন এবং গুলি করার হুমকি দিয়েছেন। তবে চেয়ারম্যান বলছেন, দুর্ব্যবহারের বিষয়টি সত্য নয়। তাছাড়া আর্থিক সংকটের কারণে বেতন বৃদ্ধি করা যাচ্ছে না।

আন্দোলনরত স্টাফরা দাবি করেন,‘বিগত ১ বছর থেকে আমাদের ওভারটাইম দেয়া বন্ধ রয়েছে। এ বছর ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়নি। আমরা এসব বিষয় নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি আমাদের সাথে দুর্বব্যহার করেন। গুলি করার হুমকি দেন।’

তাই হাসপাতালটির ফিজিওথেরাপিস্ট, নার্স, ওয়ার্ডবয়, রিসিপশনিস্ট ও আয়াসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী আজ সকাল থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এসময় তারা চেয়ারম্যান সুহেব আহমদ মতিনের পদত্যাগ দাবি করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সহকারী ফিজিওথেরাপিস্ট জুনেদ আহমদ, মাহবুব উদ্দিন, জুনিয়র থেরাপিস্ট সাইদুল ইসলাম, নান্টু দেবনাথ, রতিশ দেবনাথ, অর্পিতাসহ নার্স, রিসিপশনিস্ট, ওয়ার্ডবয় ও আয়া।

এ ব্যাপারে সুহেব আহমদ মতিন সিলেটভিউ-কে বলেন, ‘এ বছর জানুয়ারিতে বেতন বৃদ্ধির কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে হাসপাতালটি বড় ধরণের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে আলোচনাও করেছি। এমনকি তাদেরকে আয়-ব্যয়ের হিসাবও দেখিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ করে আজ তারা আন্দোলন শুরু করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘এটি একটি নন-প্রফিট প্রতিষ্ঠান। যেখানে হাসপাতালটির আয় হয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা, সেখানে ব্যায়  ১ লাখ টাকা বেশি। এমন অবস্থায় কিভাবে ইনক্রিমেন্ট দেয়া সম্ভব। তাছাড়া সামনে দু’টি ঈদ, তখন তাদেরকে বোনাস দিতে হবে।’

খারাপ আচরণ, গুলির হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, এ ধরণের কোন কিছুই ঘটেনি। তিনি দাবি করেন, ‘কয়েকজন স্টাফ তাদের দায়িত্বে গাফিলতি করেছেন। আমি তাদেরকে সতর্ক করেছি, এর বেশি কিছু নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি সম্প্রতি তাদের মনোযোগ বৃদ্ধি ও মান উন্নয়নের জন্য ট্রেনিং শেষে পরীক্ষা নিয়েছি, কিন্তু ৫ জন ফেল করেছে।’

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবো।’

দুপুর ২টায় আন্দোলনরত মাহবুব উদ্দিন সিলেটভিউ-কে বলেন, আমাদের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি। এখন কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক চলছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল