নিজস্ব প্রতিবেদক ::
অভিযোগে বলা হয়, বিগত সরকারের আমলে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার ৫নং ছিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয় আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়া ও তার ভাই কাশেম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাবস্থায় ঐই গ্রামের নিরীহ মানুষের উপর জুলুম-অত্যাচার ও অবৈধ অস্ত্রের ধারা মানুষের বিল ও গাং দখল করে তাদের আন্ডারে গ্রামের মানুষকে জিম্মি করে রাখে। যেমন- কাশেম ঐ গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ করে। জুয়েল মিয়ার আপন চাচাত ভাই রেজাউল ও আবু সালেহ এবং কাশেম প্রকাশ্যে দিবালোকে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গ্রামের মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাদা আদায় করত। জুয়েল মেম্বার থাকাকালীন অবস্থায় মানুষের জমির মাঠি জোরপূর্বক নিয়ে আসত। বাধা দিলেই কাশেম ও রেজাউল মানুষকে অস্ত্র দিয়ে হুমকী দিত। কিন্তু এ বিষয়টি বিভিন্নভাবে গ্রামের মানুষ থানাকে অবগত করলে থানা তাদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে পারে নি। কারণ, সে মন্ত্রীর আপন মানুষ। আমরা বিনীতভাবে সেনাবাহিনীর কাছে অনুরোধ জুয়েল মিয়া, কাশেম মিয়া, রেজাউল ও আবু সালেহ এর কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে গ্রামের নিরীহ মানুষকে আতঙ্কমুক্ত করার জন্য বিনীতভাবে আপনার মর্জি হয় এবং জুয়েল মেম্বার থাকাকালীন প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি বাড়ি নির্মাণ করে। এ টাকা কোথা থেকে আসল আপনাদের তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। বিগত মাস দেড়েক আগে একটি বিল জুয়েল ও কাশেম এমপির ভয় দেখিয়ে এই বিলটি দখল করে নেয়। আমাদের আশা ও বিশ্বাস সেনাবাহিনীর মাধ্যমে এই সন্ত্রাস চাদাবাজীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত আইনের মাধ্যমে বিচার করা হোক।