Sylhet 5:49 am, Wednesday, 25 December 2024

বিআইডব্লিউটি এর নামে সুনামগঞ্জের সুরমা ও পাটলাই নদীতে বেপরোয়া চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে নৌকার মাঝিদের অভিযোগ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জে বিআইডব্লিউটি এ কোর্টগারি চুনাপাথর ভর্তি নৌকা হতে তিনবার অবৈধভাবে রাজস্ব আদায়ের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর জামালগঞ্জ উপজেলার কামিনীপুর গ্রামের মৃত মোঃ ইদ্রিছ আলীর ছেলে মোঃ করিম হোসেন নিজে উদ্যোগী হয়ে জামালগঞ্জের লম্বাবাক গ্রামের জাফর আলীর ছেলে রুবেল মিয়া,উসমান গণির ছেলে জহির মিয়া,মৃত করম আলীর ছেলে ইমরান হোসেন,লক্ষীপুর গ্রামের আপ্তাব উদ্দিনের ছেলে লালন মিয়াকে অভিযুক্ত করে এই অভিযোগটি দায়ের করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,অভিযোগকারী একজন নৌকার মাঝি হয়ে তিনি জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাগলী,বড়ছড়া,চারাগাঁও হতে তার নৌকায় করে চুনাপাথর বোঝাই করে গন্থব্যেস্থানে পৌছানোর পূর্বে কামালপুর পাখনা নদীতে নামাংঙ্কিত ব্যাক্তিরা প্রতি নৌকা হতে রাজস্ব আদায় করে নেন।

অপরদিকে তাদের অনুসারী সিন্ডিকেট অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিরা আবারো প্রতি নৌকা আটকিয়ে কামালপুর পাখনা নদীতে চুনাপথর বোঝাই প্রতি নৌকা থেকে আরো একহাজার ৬ শত টাকা অবৈধভাবে জোরপূর্বক কুটকারি চাদাঁ আদায় করেন বলে তিনি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি জামালগঞ্জের সুরমা নদীতে চুনাপাথর বোঝাই নৌকা প্রবেশ করার সাথে সাথে আরো একটি গ্রæপের সদস্যরা প্রতি নৌকার চুনাপাথর টনপ্রতি ৩৪.৫০ টাকা করে অবৈধভাবে চাদাঁ তুলে নিচ্ছেন। নৌকার মাঝিগণ একাধিকস্থানে চাদাঁ দিতে অস্বীকৃতি জানালে নৌকার মাঝিদের মারপিঠসহ অকথ্যা ভাষায় গালিগালাজ কের জোরপূর্বক চাদাঁ আদায় করে নেন। পরবর্তীতে চুনাপথর বহনকারী নৌকার মাঝিগণ জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর পরও কোনপ্রকার সুরাহা না হওয়াতে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরে এই অভিযোগপত্রটি দায়ের করা হয়েছে। নদীপথে রাস্তায় রাস্তায় একাধিক স্থানে চাদাঁবাজদের দৌড়াত্ব বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্থক্ষেপ চান নৌকার মালিক ও মাঝিরা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লালন মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমরা বিআইডব্লিউটি এর নামে ইজারা নিয়ে টোল আদায় করছি।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মোঃ হোসেন জানান আমার নিম্নআয়ের মানুষ নৌকা চালিয়ে বৈধভাবে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসতে চাইলে ও তাহির হতে জামালগঞ্জের মান্নানঘাট পর্যন্ত প্রায় পনের কিলোঃ মিটারের মধ্যে বিআইডব্লিউটি এর নামে তিনজায়গাতে নীতিমালার বাহিরে একটি চাদাঁবাজচক্রকে চাঁদা দিয়ে আসতে হয়। না দিলে তারা আমাদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। অবিলম্বে এইসব চাঁদাবাজদের দৌড়াত্ব বন্ধ করতে হলে সকল চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবী জানান।

এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুশফিকুর নুর অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,দুটিপক্ষকে ডাকা হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু বিআইডব্লিউটি এর নামে ইজারা হয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
২৯.০৯.২০২৪

About Author Information

Sylhet Journal

জনপ্রিয় সংবাদ

সেচ্ছাসেবক দল নেতার খোঁজ-খবর নিয়ে প্রশংসা ভাসছেন জনাব তারেক রহমান

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

বিআইডব্লিউটি এর নামে সুনামগঞ্জের সুরমা ও পাটলাই নদীতে বেপরোয়া চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে নৌকার মাঝিদের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : 09:45:48 am, Sunday, 29 September 2024

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জে বিআইডব্লিউটি এ কোর্টগারি চুনাপাথর ভর্তি নৌকা হতে তিনবার অবৈধভাবে রাজস্ব আদায়ের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর জামালগঞ্জ উপজেলার কামিনীপুর গ্রামের মৃত মোঃ ইদ্রিছ আলীর ছেলে মোঃ করিম হোসেন নিজে উদ্যোগী হয়ে জামালগঞ্জের লম্বাবাক গ্রামের জাফর আলীর ছেলে রুবেল মিয়া,উসমান গণির ছেলে জহির মিয়া,মৃত করম আলীর ছেলে ইমরান হোসেন,লক্ষীপুর গ্রামের আপ্তাব উদ্দিনের ছেলে লালন মিয়াকে অভিযুক্ত করে এই অভিযোগটি দায়ের করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,অভিযোগকারী একজন নৌকার মাঝি হয়ে তিনি জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাগলী,বড়ছড়া,চারাগাঁও হতে তার নৌকায় করে চুনাপাথর বোঝাই করে গন্থব্যেস্থানে পৌছানোর পূর্বে কামালপুর পাখনা নদীতে নামাংঙ্কিত ব্যাক্তিরা প্রতি নৌকা হতে রাজস্ব আদায় করে নেন।

অপরদিকে তাদের অনুসারী সিন্ডিকেট অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিরা আবারো প্রতি নৌকা আটকিয়ে কামালপুর পাখনা নদীতে চুনাপথর বোঝাই প্রতি নৌকা থেকে আরো একহাজার ৬ শত টাকা অবৈধভাবে জোরপূর্বক কুটকারি চাদাঁ আদায় করেন বলে তিনি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি জামালগঞ্জের সুরমা নদীতে চুনাপাথর বোঝাই নৌকা প্রবেশ করার সাথে সাথে আরো একটি গ্রæপের সদস্যরা প্রতি নৌকার চুনাপাথর টনপ্রতি ৩৪.৫০ টাকা করে অবৈধভাবে চাদাঁ তুলে নিচ্ছেন। নৌকার মাঝিগণ একাধিকস্থানে চাদাঁ দিতে অস্বীকৃতি জানালে নৌকার মাঝিদের মারপিঠসহ অকথ্যা ভাষায় গালিগালাজ কের জোরপূর্বক চাদাঁ আদায় করে নেন। পরবর্তীতে চুনাপথর বহনকারী নৌকার মাঝিগণ জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর পরও কোনপ্রকার সুরাহা না হওয়াতে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরে এই অভিযোগপত্রটি দায়ের করা হয়েছে। নদীপথে রাস্তায় রাস্তায় একাধিক স্থানে চাদাঁবাজদের দৌড়াত্ব বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্থক্ষেপ চান নৌকার মালিক ও মাঝিরা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লালন মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমরা বিআইডব্লিউটি এর নামে ইজারা নিয়ে টোল আদায় করছি।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মোঃ হোসেন জানান আমার নিম্নআয়ের মানুষ নৌকা চালিয়ে বৈধভাবে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসতে চাইলে ও তাহির হতে জামালগঞ্জের মান্নানঘাট পর্যন্ত প্রায় পনের কিলোঃ মিটারের মধ্যে বিআইডব্লিউটি এর নামে তিনজায়গাতে নীতিমালার বাহিরে একটি চাদাঁবাজচক্রকে চাঁদা দিয়ে আসতে হয়। না দিলে তারা আমাদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। অবিলম্বে এইসব চাঁদাবাজদের দৌড়াত্ব বন্ধ করতে হলে সকল চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবী জানান।

এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুশফিকুর নুর অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,দুটিপক্ষকে ডাকা হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু বিআইডব্লিউটি এর নামে ইজারা হয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ##

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
২৯.০৯.২০২৪