Sylhet 2:44 am, Tuesday, 24 December 2024

জগন্নাথপুরে ক্লাসরুমে অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষক, পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত

হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ

জগন্নাথপুরের পশ্চিম ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তকালে স্থানীয় জনতা কর্তৃক তিনি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামকে অবরুদ্ধ মুক্ত করেছেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকায় অবস্থিত ১৩৩ নং পশ্চিম ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম -দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিগত ২৭ শে আগষ্ট  স্থানীয় ১৬৬ জন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ পত্র পৃথকভাবে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনী ক্যাম্পে দাখিল করা হয়। এরই পরিপেক্ষিতে ৩ রা অক্টোবর দুপুরে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রাপ্রুচাই মারমা এই বিদ্যালয়ে তদন্ত কার্যক্রমে যান। তদন্তকালে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম  বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে ভুক্তভোগীগণ ও স্থানীয় জনসাধারণ কর্তৃক এই প্রধান শিক্ষক  বিদ্যালয়ের একটি ক্লাসরুমে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।  খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই রফিজুল মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করার পাশা-পাশি প্রধান শিক্ষকে উদ্ধার করেছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসী একান্ত আলাপকালে দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে  বিভিন্ন অনিয়ম -দুর্নীতির অভিযোগ এই প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এলাকাবাসী শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তদন্ত কার্যক্রম চলাকালে  স্থানীয় এলাকাবাসী ওই শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে একটি রুমে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।এবং তাকে উদ্ধার করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দুর্নীতিবাজ এই শিক্ষক এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোরদাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার এসআই রফিজুল মিয়া দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন, অবরুদ্ধের কোন ঘটনা ঘটেনি। তদন্তকালে স্থানীয়রা জড়ো হলে ওই শিক্ষক ভয়ে পেয়ে যান। আমরা গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করার পর তাঁরা চলে যান।
এবিষয়ে জানতে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাপ্রুচাই মারমা সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

About Author Information

Sylhet Journal

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাতকে রেলওয়ের কংক্রিট স্লিপার প্লান্টে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

জগন্নাথপুরে ক্লাসরুমে অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষক, পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত

প্রকাশের সময় : 12:47:00 pm, Friday, 4 October 2024

হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ

জগন্নাথপুরের পশ্চিম ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তকালে স্থানীয় জনতা কর্তৃক তিনি অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামকে অবরুদ্ধ মুক্ত করেছেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর এলাকায় অবস্থিত ১৩৩ নং পশ্চিম ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম -দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিগত ২৭ শে আগষ্ট  স্থানীয় ১৬৬ জন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ পত্র পৃথকভাবে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনী ক্যাম্পে দাখিল করা হয়। এরই পরিপেক্ষিতে ৩ রা অক্টোবর দুপুরে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রাপ্রুচাই মারমা এই বিদ্যালয়ে তদন্ত কার্যক্রমে যান। তদন্তকালে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম  বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে ভুক্তভোগীগণ ও স্থানীয় জনসাধারণ কর্তৃক এই প্রধান শিক্ষক  বিদ্যালয়ের একটি ক্লাসরুমে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।  খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই রফিজুল মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করার পাশা-পাশি প্রধান শিক্ষকে উদ্ধার করেছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসী একান্ত আলাপকালে দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে  বিভিন্ন অনিয়ম -দুর্নীতির অভিযোগ এই প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এলাকাবাসী শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তদন্ত কার্যক্রম চলাকালে  স্থানীয় এলাকাবাসী ওই শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে একটি রুমে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।এবং তাকে উদ্ধার করেন। এক প্রশ্নের জবাবে তারা আরো বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দুর্নীতিবাজ এই শিক্ষক এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোরদাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার এসআই রফিজুল মিয়া দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকাকে বলেন, অবরুদ্ধের কোন ঘটনা ঘটেনি। তদন্তকালে স্থানীয়রা জড়ো হলে ওই শিক্ষক ভয়ে পেয়ে যান। আমরা গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করার পর তাঁরা চলে যান।
এবিষয়ে জানতে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাপ্রুচাই মারমা সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।