Sylhet 7:04 am, Wednesday, 25 December 2024

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত মধ্যনগর

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে সীমান্তের বাড়ি—ঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানিববন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। রবিবার সকাল ৬টার দিকে মহিষখলা ছড়া ও সোমেশ্বরী নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে।
এতে সীমান্তবর্তী অধিকাংশ গ্রামীণ রাস্তাঘাট ও বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে। অনেক বাড়িঘর হাঁটু পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শনিবার থেকে অতিবৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে উপজেলার মহিষখলা নদী ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীর পানি উপচে সীমান্তের নিম্নাঞ্চলের ২৫—৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এসব এলাকার আমন ধান ও মাছের খামার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঢলের পানির প্রবল চাপে অনেক কাঁচা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে মহিষখলা বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ আছে।
বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মোহনপুর গ্রামের ধ্রুবরাজ বানাই বলেন, আজ (রবিবার) সকালে হঠাৎ করেই আমাদের এলাকায় পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করে। এরপর মুহূর্তেই সব কিছু ডুবে যায়। বাড়িঘর ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মহিষখলা বাজারের ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র ঘোষ জানান, সকালে হঠাৎ করেই ঢলের পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করে। মহিষখলা বাজার পুরোটাই প্লাবিত হয়েছে। অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরনবী তালুকদার বলেন, হঠাৎ করেই ঢলের পানিতে এমন বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছে।

সূত্র সুনামগঞ্জের খবর

About Author Information

Sylhet Journal

জনপ্রিয় সংবাদ

সেচ্ছাসেবক দল নেতার খোঁজ-খবর নিয়ে প্রশংসা ভাসছেন জনাব তারেক রহমান

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত মধ্যনগর

প্রকাশের সময় : 02:38:14 am, Monday, 7 October 2024

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে সীমান্তের বাড়ি—ঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানিববন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। রবিবার সকাল ৬টার দিকে মহিষখলা ছড়া ও সোমেশ্বরী নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে।
এতে সীমান্তবর্তী অধিকাংশ গ্রামীণ রাস্তাঘাট ও বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে। অনেক বাড়িঘর হাঁটু পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শনিবার থেকে অতিবৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে উপজেলার মহিষখলা নদী ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীর পানি উপচে সীমান্তের নিম্নাঞ্চলের ২৫—৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এসব এলাকার আমন ধান ও মাছের খামার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঢলের পানির প্রবল চাপে অনেক কাঁচা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে মহিষখলা বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ আছে।
বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মোহনপুর গ্রামের ধ্রুবরাজ বানাই বলেন, আজ (রবিবার) সকালে হঠাৎ করেই আমাদের এলাকায় পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করে। এরপর মুহূর্তেই সব কিছু ডুবে যায়। বাড়িঘর ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মহিষখলা বাজারের ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র ঘোষ জানান, সকালে হঠাৎ করেই ঢলের পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করে। মহিষখলা বাজার পুরোটাই প্লাবিত হয়েছে। অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরনবী তালুকদার বলেন, হঠাৎ করেই ঢলের পানিতে এমন বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছে।

সূত্র সুনামগঞ্জের খবর