সুনামগন্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ঠাকুরভোগ গ্রামে গাঁজা ও চোলাই মদের রমরমা ব্যবসায় এলাকার যুব সমাজসহ বিভিন্ন বয়সীরা গাঁজা-মদে আশক্ত হয়ে ধংসের পথে ধাবিত হচ্ছে বলে ওই এলাকাবাসীর ভাষ্যে জানা গেছে।
ঠাকুরভোগ গ্রামের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কতিপয় ব্যক্তি বলেন, মাদক ব্যবসায়ী মনাই রবি, মিলন রবি, কালিচরণ দীর্ঘ দিন থেকে চোলাই মদ ও গাঁজা ব্যবসা এলাকায় চালিয়ে আসছে। মাঝে মধ্যে গাঁজা সহ তারা থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হাতে ধরা পড়ে জেল হাজতে থাকার পর জামিনে বেড়িয়ে আসার পড় আবারও গাঁজা ব্যবসায় জরিয়ে পড়ে।
এছাড়াও ওই গ্রামের মাদকবিরোধী কতিপয় ব্যক্তি তাদের আত্মপরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, উল্লেখিত মদ গাঁজা ব্যবসায়ী জেল হাজতে থাকাকালীন তাদের স্ত্রী ও মেয়েরা মদ গাঁজা বিত্রিু চলমান রাখে। মাঝে মধ্যে থানা পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা ঠাকুরভোগ গ্রামে আসা যাওয়া করলেও মদ ও গাঁজা বিক্রি চলে অতি গোপনে ও কৌশলে। ফলে গাঁজা আসক্তদের গাঁজা প্রাপ্তিতে তেমন অসুবিধা হয় না।
অপর দিকে, বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা ১০/১৫ জন ব্যক্তি তাদের বাড়িতে এবং বাড়ি সংলগ্ন ঝোঁপ ঝাড়ে ও ঘরে বসে মদ গাজা সেবন করে।
এছাড়াও তাদের বাড়ীর পিছনে চুল্লি তৈরি করে চোলাই মদ ও গাজা বাড়ীতে বেচা কেনার পাশাপাশি টানাখালি বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে।
স্থানীয় ঠাকুরভোগ গ্রামের বাসিন্ধা জানান, আমাদের এখানে করবস্থানের পবিত্রতা ভঙ্গ করে মনাই রবি ও তাদের বাড়ীর লোকজন চোলাই মদ ও গাজা বিক্রির পাশা-পাশি নিজেরা ও সেবন করে মাতলামি করেন। এতে এলাকার মানুষজনের চলা-ফেরা করতে বিগ্ন ঘটে।
এই গ্রামের আরেক বাসিন্দা জানান, বিগত কয়েক বছর আগে আমাদের শান্তিগঞ্জ থানার এস আই বর্তমান র্যাব কর্মরত আবুল হাসনাত চৌধুরী’র সহ পুলিশ সদস্যরা প্রায় চার ড্রাম মদ তাদের বাড়ির মাটির নিচ থেকে উদ্বার করেন। এ মামলায় মনাই সহ অনেকেই জেল হাজত এ ছিলেন। কিন্তু আমাদের এলাকার কুচক্রী মহলের কারণে দিনের পর দিন চলছে তাদের অবৈধ মাদকের রমরমা ব্যবস্যা। মাদক বিক্রির কথা জানতে চাইলে মাদক ব্যবসায়ী মনাই রবি গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে উত্তিজত হয়ে বলে, আমার কাছে থানা পুলিশ সহ সাংবাদিকের কোন টাইম ( সময়) নেই।
৫নং ইউপি সদস্য মুজাহিদ খান বলেন, ওরা দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা করে আসছে। আমাদের গ্রামের মানুষের বিভিন্ন চাপে বিরত থাকে। কিন্তু এখন শুনেছি মাদক ব্যবসায় তারা লিপ্ত।
এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকন বলেন, আমার জানা নেই, আপনারা এই বিষয়ে আমাদের নুর মিয়া ভাইকে অবগত করেন।
এ বিষয়ে , সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, মাদককের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের আটক করে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হচ্ছে। শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।