বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা।
তিনি বলেন, ‘১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম-খুনের মাধ্যমে নির্যাতন করেছে। লক্ষাধিক মিথ্যা মামলায় ৫০ লাখ মানুষকে আসামি করে মানুষের অধিকার হরণ করেছিল। অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা কী? সরকারকেও সেটি উপলব্ধি করতে হবে।
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই হবে সরকারের মূল দায়িত্ব।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি এসব কথা বলেন।
দীর্ঘ ৯ বছর পর শুক্রবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও ফ্লোরিডা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমরানুল হক চাকলাদার। এ সময় মুন্সীগঞ্জ-২ (লৌহজং-টংগিবাড়ী) এলাকার মানুষ তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
সেখান থেকে সরাসরি তিনি শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে যান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে ইমরানুল হক চাকলাদারসহ নেতৃবৃন্দ ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, গবেষণা সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ড. আবদুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলো, নাকি মেয়রাল ইলেকশন হলো সেটি কোনো কথা নয়।
দেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে সরকার ক্ষমতায় এসেছে। ডক্ট্রিন অব নেসেসিটি মোতাবেক বর্তমান সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা বলছি। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতের প্রতিফলন ঘটতে পারে। যারাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন তারাই সরকার গঠন করবেন।
সেটিই হলো গণতন্ত্র। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, ‘বিগত দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ তাদের মতের প্রতিফলন ঘটাতে পেরেছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি চলতে থাকবে। আমরা একটি নির্বাচিত সংসদ গঠন করতে চাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো ব্যালট চুরি করে দিনের ভোট রাতে করা দেশের মানুষ তা কখনো স্বীকার করেনি। পরবর্তীতে যারাই ক্ষমতায় আসবে তারাই সংস্কার বা অন্য কাজ করবে। যে কেউ দল গঠন করতে চাইলে করবে। এখানে কোনো বাধা নেই।’