টি-টোয়েন্টিতে ১২২ রানের লক্ষ্যকে নির্দ্বিধায় মামুলি বলে দেওয়া যায়। সে হিসাবে নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসেই ম্যাচ হেরে বসেছিল চিটাগং কিংস। ব্যাটিংয়ে নেমে সে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে ১৬.৫ ওভার খরচ করেছে ফরচুন বরিশাল। ১৯ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখেই তারা পেরিয়ে গেছে সেই মামুলি লক্ষ্য।
এই জয়ে ৭ ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরে দ্বিতীয় স্থান মজবুত করেছে বরিশাল। আর সমানসংখ্যক ম্যাচে তাদের চেয়ে দুই পয়েন্ট নিয়ে তিনে রইল চিটাগং।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে ৮ উইকেটে ১২১ রানের বেশি তুলতে পারেনি চিটাগং। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৩৯ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
সেই যে ব্যাট হাতে পথ হারানো, ইনিংসের শেষ পর্যন্ত আর তা কাটিয়ে ওঠা হয়নি চিটাগংয়ের। দলটির মাত্র তিন ব্যাটার দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৫ রান এসেছে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে।
শেষদিকে আরাফাত সানির ২৭ রানের হার না মানা ইনিংসে একশর আগে গুটিয়ে যাওয়া ঠেকায় চিটাগং। বরিশালের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন রিপন মণ্ডল এবং ফাহিম আশরাফ।
এদিকে ১২২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৩২ রানের মধ্যে অধিনায়ক তামিম ইকবাল (৮), তাওহিদ হৃদয় (১) ও মুশফিকুর রহিমের (১১) উইকেট খুইয়ে বসে বরিশাল। এরপর মাহমুদউল্লাহকে (১৬) সাজঘরের পথ দেখান খালেদ আহমেদ।
৫৩ রানে ৪ উইকেট হারানো বরিশালের হাল ধরেন ইংলিশ ওপেনার ডেভিড ম্যালান এবং আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। পঞ্চম উইকেটে তাদের ৪৪ বলে ৬৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতেই জয়ের দেখা পায় বরিশাল।
শেষ পর্যন্ত ২১ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন নবী। আর ৪১ বলে ৩ চার এবং ২ ছক্কায় ৫৬ রানের দুর্দান্ত এক হার না মানা ইনিংস খেলেন ম্যালান।
চিটাগংয়ের পক্ষে ২৭ রানে সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেন পেসার খালেদ আহমেদ।