জগন্নাথপুরে দিনেদুপুরে লক্ষ্য টাকার স্বর্ণালংকার চুরি 

জগন্নাথপুরের কলকলিয়ায় দিনেদুপুরে ৩ লাখ ৬০হাজার টাকা সমপরিমাণ মূল্যের স্বর্ণালংকার চোর চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া গ্রাম নিবাসী মস্তান মিয়ার ছেলে মোঃ হুমায়ূন কবির (৫০) গতকাল ২২শে এপ্রিল রোজ মঙ্গলবার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে নিজ বাসভবন এর ছাদে বোরোধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন এই সুযোগে বেলা প্রায় ২ দুই ঘটিকার সময় বালিকান্দী গ্রাম (বর্তমানে কলকলিয়া গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা) নিবাসী ফয়জুল মিয়ার ছেলে চিহ্নিত চোর আরমান মিয়া (১৯) এই বাসভবনের একটি রুমে স্টীলের আলমীরায় রক্ষিত ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা সমপরিমাণ মূল্যের ৩ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার চোর করে নিয়ে গেছে। হুমায়ুন কবির ও তার পরিবারের লোকজন চোরদের আটকানোর চেষ্টা করলে চোরেরা দৌড়ে পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে হুমায়ূন কবির বাদী হয়ে আরমান মিয়া (১৯) গংকে আসামী করে ২২ শে এপ্রিল দিবাগত রাতে জগন্নাথপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ এর পরিপেক্ষিতে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী হুমায়ুন কবির একান্ত আলাপকালে বলেন, আমরা পরিবারের সদস্যরা নিজ বাসভবনের ছাদে বোরোধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এই সুযোগে বেলা ২ঘটিকার সময় কথিত ফয়জুল মিয়া (৫০) ও তার ছেলে আরমান মিয়া (১৯) আমাদের বসত ঘরে প্রবেশ করে স্টীলের আলমীরা থেকে ৩ভরি ওজনের স্বর্নলংকার নিয়ে যাওয়ার সময় আমার ছেলে জান্নাত তাদেরকে দেখতে পেয়ে আর্তচিৎকার দিলে আমরা দৌড়ে এসে তাদেরকে ধরার চেষ্টাকালে কথিত চোরেরা দৌড়ে পালিয়ে গেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, চোরকে চিনেছি। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে এলাকার একাধিক ব্যক্তি একান্ত আলাপকালে বলেন, আরমান মিয়া একজন চিহ্নিত চোর। সে আরো অনেকবার চুরি করতে গিয়ে ধরাও পড়েছে। তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
এ ব্যাপার অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার এসআই হামিদুর রহমান মুঠোফোনে আলাপকালে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।