সিলেটে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বেড়াই মিয়ার ঘাটে পাথর উত্তোলন করার কারণে ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে ভোলাগঞ্জ আদর্শগ্রাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেড়াই মিয়ার ঘাটে প্রতি রাতে ৪ থেকে ৫টি শেইব মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করা হয়। একেকটি মেশিনে প্রতি রাতে ২০ হাজার টাকা দিতে হয়। কয়েকজন প্রভাবশালী এসব জায়গার মালিকানা দাবি করে এ টাকা নিয়ে থাকেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ধলাই নদীর পশ্চিম পাড় ঘেষে পাথর উত্তোলন করায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। রাতে মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করা হয় আর দিনে নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। এতে করে এই এলাকার ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বর্ষা মৌসুমের আগেই মসজিদ ও বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় আদর্শগ্রামের মুরব্বি মখতছির আলী বলেন, গ্রামের মুরুব্বিরা মিলে আমরা বাধা দিচ্ছি। কিন্তু টাকার বিনিময়ে জায়গার মালিক দাবি করে ওরা মেশিন লাগিয়ে পাথর উত্তোলন করাচ্ছে। আমাদের বাধা মানছে না। আমরা গ্রামের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে দরখাস্ত দিব।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, আদর্শগ্রামে শেইব মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের খবর পেয়েছি। ২দিন আগে রাত ৩টায় পুলিশ পাঠিয়েছিলাম কিন্তু তাদের পায়নি। এখান থেকে যেই পাথর উত্তোলন করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত বলেন, সোমবার সিলেটের একজন ম্যাজিস্ট্রেট ভোলাগঞ্জ আদর্শগ্রামের ঐ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আমিও সেখানে যাব। অবৈধভাবে কেউ এই এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।