জুলাই বিপ্লবে রাজধনীর বিভিন্ন এলাকায় সংগঠিত হত্যা ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মন্ত্রী-এমপি ও মেয়রকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এদিন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের ৩ দিন এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি সাদেক খান ও কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ সলুর ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক।
বুধবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত তাদের এই রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন। এর আগে উত্তরা পূর্ব থানার হত্যা মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। একই সাথে মোহাম্মদপুর থানার ভ্যান চালক হত্যা চেষ্টা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক এমপি সাদেক খান ও ২৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ সলুকে ৫ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি পুলিশ।
আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি জামিন চেয়ে বলেন, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের এ পর্যন্ত ৫৮ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩৪ দিন রিমান্ডে ছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি নিমুনিয়া আক্রান্ত। অসুস্থতার বিবেচনায় রিমান্ড বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি।
এসবের জবাবে রাষ্ট্র পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, রিমান্ড তো সবে মাত্র শুরু হয়েছে। গণ ভবনে বসে যে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন, নির্দেশ দিয়েছেন। এ সব ষড়যন্ত্রে দায় তিনি (পলক) এড়াতে পারেন না। জুলাই বিপ্লবে যতগুলো হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে সব মামলায়ই তাদের রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ২১ বছর পর চার লাইনের জিডিকে টেনে কত মানুষকে ফাসি দেয়া হয়েছে। ক্রিমিনাল মামলা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা রিমান্ডে নেয়ার বিধান রয়েছে।
এর আগে রাজধনীর হাজারীবাগ থানার মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ধানমন্ডি থানার মামলায় রমনার জোনের সাবেক ডিসি মশিউর রহমান ও জুয়েল রানা এবং মিরপুর মডেল থানার মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত।