ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইর পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঙ্গে মঙ্গলবার সাক্ষাৎ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি আগামী নির্বাচন নিয়ে ঐক্যের প্রত্যাশাও করেন তারা।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে ঐকমত্য গড়তে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন খেলাফত মজলিসের নেতারা।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য ঐক্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, ভালো।
এই দুই দলের ঐক্যে বিএনপি কনসার্ন কিনা জানতে চাইলে নজরুল বলেন, এখানে কনসার্নের কিছু নাই। আপনি বাংলাদেশে যারাই রাজনীতি করেন, তারাই রাজনীতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যার সঙ্গে যার মতের মিল হবে, তারা একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে চিন্তা করতে পারেন, সিদ্ধান্ত নিতে পারেন- এটা নিয়ে কারো কোনো দুশ্চিন্তা থাকার তো কোনো কারণ নাই।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, এক সময়ে একদল আরেক দলের বিরোধিতা করেছে, সমালোচনা করেছে, আবার আন্দোলনের একপর্যায়ে তারা একমত হয়েছে- এটাতে অস্বাভাবিক হওয়ার কী আছে? আজকে যারা একমত কালকে আবার তারা একমত নাও থাকতে পারে, এটাও ঘটেছে বাংলাদেশে বহু, তাতেই বা অবাক হওয়ার কী থাকতে পারে? কাজেই আমার মনে হয়, এ বিষয় নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বা মন্তব্য করার কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। তারা তাদের রাজনৈতিক বিশ্বাস থেকে যা উচিত মনে করবেন তারা নিশ্চয়ই তা করবেন।
তিনি বলেন, আমরা তো ঐক্যবদ্ধ আছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব অলরেডি ঘোষণা করেছেন যে, যারাই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত আছি, আগামী দিনে আল্লাহর মেহেরবানিতে যদি জনগণের সেবা করার সুযোগ আল্লাহ আমাদের দেয়, তাহলে যারাই আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত ছিল তাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা একযোগে ঐক্যবদ্ধভাবে এ দেশের জনগণের কল্যাণ করার জন্য চেষ্টা করব। কাজেই এক ধরনের জোট তো হয়েই আছে আমাদের মধ্যে, যারাই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, যারাই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে তারা সবাই আমাদের আন্দোলনের আমাদের সাথী ছিলেন, আগামী দিনগুলোতে আমাদের সঙ্গে থাকবেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- দলটির নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল এবং আবদুল জলিল।