Sylhet 1:43 am, Tuesday, 24 December 2024

মধ্যনগরের হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু

সুুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু করেছে কৃষক। টাঙ্গুয়ার হাওর বরাবরই আগাম বন্যায় ফসলহানির ঝুঁকিতে থাকে। তাই এই হাওরের কৃষকেরা আগাম জাতের ধান চাষ করে থাকেন।
রবিবার(৩১ মার্চ) টাঙ্গুয়ার হাওরের রংচী গ্রামের কৃষক মজিবুর রহমান ও শহীদ মিয়া তাদের জমির ধান কাটা শুরু করেন।
কৃষক মজিবুর রহমান জানান, তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের ব্রি ধান-৮৮ রোপন করেছিলেন। কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও রোগ-বালাই ছাড়াই পাকা ধান কাটতে পেরে তিনি খুশী। ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। তিন বিঘা জমিতে প্রায় ৫৫-৬০ মন ধানের ফলন হয়েছে।

একই গ্রামের আরেক কৃষক শহীদ মিয়া দুই বিঘা জমির পাকা ধান কাটা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, মৌসুমের প্রথম ধান কাটছি। ধান ভালোভাবে পেকেছে, ফলনও হয়েছে ভাল। বিঘা প্রতি ১৮-২০ মন ধানের ফলন হয়েছে।

মধ্যনগর উপজেলা কৃষি বিভাগের কার্যক্রম পাশের ধর্মপাশা উপজেলা থেকে পরিচালিত হয়। ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্রে জানাযায়, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় এবার ৩১ হাজার ৯০২ হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিকটন ধান। যার সম্ভাব্য মূল্য ৫০৫ কোটি টাকা।

বংশীকুন্ডা দক্ষিন ইউনিয়নে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকমল হোসেন বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরটি আগাম বন্যার ঝুঁকিতে থাকে।তাই কৃষি বিভাগের পক্ষথেকে ওই হাওরের কৃষকদের আগাম জাতের বি-৮৮ ধান চাষের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।আজ(রবিবার) থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না বলেন, মধ্যনগরের টাঙ্গুয়ার হাওরে পাকাধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে অন্যান্য হাওরে এখনো ধানকাটা শুরু হয়নি। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দূর্যোগ পূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। এখন শুধু শিলাবৃষ্টি ও অকাল বন্যার কবল থেকে রক্ষা হলে বাম্পার ফসল কৃষকদের গোলায় উঠবে।

About Author Information

SYLHET JOURNAL

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাতকে রেলওয়ের কংক্রিট স্লিপার প্লান্টে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

মধ্যনগরের হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু

প্রকাশের সময় : 03:33:53 pm, Sunday, 31 March 2024

সুুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু করেছে কৃষক। টাঙ্গুয়ার হাওর বরাবরই আগাম বন্যায় ফসলহানির ঝুঁকিতে থাকে। তাই এই হাওরের কৃষকেরা আগাম জাতের ধান চাষ করে থাকেন।
রবিবার(৩১ মার্চ) টাঙ্গুয়ার হাওরের রংচী গ্রামের কৃষক মজিবুর রহমান ও শহীদ মিয়া তাদের জমির ধান কাটা শুরু করেন।
কৃষক মজিবুর রহমান জানান, তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের ব্রি ধান-৮৮ রোপন করেছিলেন। কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও রোগ-বালাই ছাড়াই পাকা ধান কাটতে পেরে তিনি খুশী। ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। তিন বিঘা জমিতে প্রায় ৫৫-৬০ মন ধানের ফলন হয়েছে।

একই গ্রামের আরেক কৃষক শহীদ মিয়া দুই বিঘা জমির পাকা ধান কাটা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, মৌসুমের প্রথম ধান কাটছি। ধান ভালোভাবে পেকেছে, ফলনও হয়েছে ভাল। বিঘা প্রতি ১৮-২০ মন ধানের ফলন হয়েছে।

মধ্যনগর উপজেলা কৃষি বিভাগের কার্যক্রম পাশের ধর্মপাশা উপজেলা থেকে পরিচালিত হয়। ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্রে জানাযায়, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় এবার ৩১ হাজার ৯০২ হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিকটন ধান। যার সম্ভাব্য মূল্য ৫০৫ কোটি টাকা।

বংশীকুন্ডা দক্ষিন ইউনিয়নে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকমল হোসেন বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরটি আগাম বন্যার ঝুঁকিতে থাকে।তাই কৃষি বিভাগের পক্ষথেকে ওই হাওরের কৃষকদের আগাম জাতের বি-৮৮ ধান চাষের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।আজ(রবিবার) থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না বলেন, মধ্যনগরের টাঙ্গুয়ার হাওরে পাকাধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে অন্যান্য হাওরে এখনো ধানকাটা শুরু হয়নি। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দূর্যোগ পূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। এখন শুধু শিলাবৃষ্টি ও অকাল বন্যার কবল থেকে রক্ষা হলে বাম্পার ফসল কৃষকদের গোলায় উঠবে।