দোয়ারাবাজার প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের পুত্র মোঃ আবু তালেবের উপর ভারতীয় চোরা কারবারিদের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে স্হানীয় এলাকাবাসীর মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে লিয়াকতগঞ্জ বাজারে। আবুতালেব বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে শনিবার দুপুরে মাঠগাঁও এলাকায় মিন্টুর দোকান পয়েন্টে মাটগাঁও গ্রামের প্রবীন মুরব্বি মো.আব্দন নুরের সভাপতিত্বে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে চোরাকারবারীরা দৌলতপুর এলাকার ভারতের সীমানা দিয়ে চোরাই পথে ভারতীয় মদ, গাজা, চিনি, পেয়াজ, কসমেটিক সহ মালামাল কাটাতারের বেড়া অতিক্রম করে নিয়ে আসার সময় সম্পুর্ন মালামাল আটক করে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহীনী। এসময় চোরাকারবারিরা ভারতের প্রশাসনের উপর লাটিসুটা নিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ এর লোকজন এগীয়ে আসেন, পরে চোরাকারবারিরা পিচু হটে। এঘটনার জেড়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে চোরাকারবারিরা সন্দেহ করেন আবু তালেব তাদের মালামাল আটক করিয়েছ। এরই জেড়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে চোরাকাররী ব্যাবসায়ী আছকির আলী, তছকির আলী সহ তাদের ৪/৫ জন মিলিত হয়ে আবু তালেবকে বাজারের খলিল মার্উকেটের পেচনে নিয়ে বেদড়ক মারপিট করে, সেখান থেকে টেনে হেচড়ে নিয়ে যায় আমিরুল হক চেয়ারম্যান মার্কেটের সামনে। তাৎক্ষণিক এলাকার লোকজন পুলিশের কাছে ফোন করেন, পরে পুলিশ আবু তালেবকে উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য পাটান। পরেরদিন আবার রোগীকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে সেখান থেকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসক। এঘটনায় আহত আবু তালেবের বড় ভাই আব্দুল হামিদ বাদি হয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আবু তালেবের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, আমার ২ছেলে ১ মেয়ে নিয়ে এখন আমি অসহায়। আমার স্বামী দিনমজুর একজন গরিব মানুষ অসহায় মানুষ। চোরা কারবারী আছকির মিয়া অবৈধ্যভাবে ভারতীয় মালামাল এনে আমাদের ঘরে রাখতে চাইলে আমার স্বামী নিষেধাজ্ঞা করেন। এটাকে কেন্দ্র করে আমার স্বামীকে প্রানে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে তারা বেধড়ক মারধর করে। বর্তমানে আমার স্বামী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। আমি প্রশাসনের নিকট ন্যায়বিচার দাবী জানাচ্ছি।
এব্যাপারে আছকির আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তার কাছে টাকা পাই, সে গত দুই মাস যাবৎ আমার টাকা দিতেছেনা। পাওনা টাকা চাইতে গেলে উল্টো আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
এঘনার জেড়ে শনিবার দুপুরে এলাকাবাসী বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ আব্দুর নুর,মোঃ নজরুল,মোঃ মোফাজ্জল হাসান,মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ রইছ মিয়া,মোঃ কবির হোসেন,মোঃ আহাদ আলী,জুনিয়র শাংমা,শিশীর শাংমা,রহমত আলী,মকবুল হোসেন,আনেয়ার আলী, মিনতি, কমনতি, স্নেহলতা, শাকুর, ইসমাইল হোসেন, হিরুলা, জরিনা বেগম, সাইফুল ইসলাম, রাজিব শাংমা, মোশাররফ হোসেন, নুরুল আমিন, আনোয়ার আলী, রহমত আলী,কবির হোসেন, জহিরুল ইসলাম, বাবু মিয়া,রাজু, মিন্টু মিয়া, লিটন, রহিম আলী, বিল্লাল, জাহাঙ্গীর হোসেন, সাগর শাংমা প্রমুখ।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত পুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।