জগন্নাথপুর ও ছাতকের মধ্যবর্তী এলাকায় নির্মাণাধীন ব্রীজের মালামাল নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন

হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ

 

কলকলিয়া টু শক্তিয়ারগাঁও সড়কের সংযোগ স্থাপনকারী ডাউকা নদীর উপর নির্মাণাধীন ব্রীজের মালামাল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাহবুব এন্টারপ্রাইজ কর্তৃক নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে ও দ্রুত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার দাবীতে শক্তিয়ারগাঁও গ্রামবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা ও ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী জগন্নাথপুর উপজেলাধীন কলকলিয়া টু ছাতক উপজেলার শক্তিয়ারগাঁও সড়কের সংযোগ স্থাপনকারী সড়কের ডাউকা নদীর উপর নির্মাণাধীন ব্রীজের কাজ শেষ না করে এই ব্রীজ নির্মাণ এর কাজের মালামাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব এন্টারপ্রাইজ নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে ও ব্রীজের নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবীতে শক্তিয়ারগাঁও গ্রামবাসীর আয়োজনে দুই শতাধিক ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে ১৯শে মে রোজ সোমবার দুপুরে ব্রীজের পাশে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বক্তব্য রাখেন, সমাজ সেবক মোঃ নুরুল হক, সমাজ সেবক মোঃ গোলাম রব্বানী, সমাজ সেবক মোঃ অজুদ মিয়া, সমাজ সেবক কবির মিয়া, হাফিজ মাওলানা সুহেল আহমদ, মোঃ সুমন মিয়া ও মোঃ তোফাজ্জুল হক।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, যুগযুগ ধরে আমরা শক্তিয়ারগাঁও গ্রামবাসী তথা শান্তিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের বিপুল জনগোষ্ঠী জীবন জীবিকার তাগিদে ও স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা শক্তিয়ারগাঁও টু কলকলিয়া সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাশের সাঁকো দিয়ে ডাউকা নদী পারাপার হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায় করে আসছি। আমরা বিভিন্ন সময় এমপি,মন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়ে এই স্থানে ব্রীজের দাবী জানানোর পরিপেক্ষিতে ২০২২ সালের শেষের দিকে এই ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু হলেও সুনামগঞ্জের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব এন্টারপ্রাইজ আংশিক কাজ করে চলে যায়। দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর কাজ বন্ধ থাকার পর চলতি সনের প্রথম দিকে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর সাব কন্ট্রাক্টর জগন্নাথপুর উপজেলার জগদীশপুর গ্রাম নিবাসী মিলন মিয়া ব্রীজের কাজের মালামাল বিশেষ করে রড নিয়ে যান। এরই ধারাবাহিকতায় মিলন মিয়া সম্প্রতি ফের ব্রীজের বেইজের উপরে বাঁধা রড খুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে আমরা বাধা প্রদান করলে সে চলে যায়। বিষয়টি ছাতক উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্মকর্তা টিটুকে অবহিত করেও কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এতে করে ব্রীজের কাজ আদোও হবে কিনা এই আশঙ্কা আমাদের মনে বিরাজ করছে। বিধায় জনস্বার্থে এই ব্রীজের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য ও এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ বর্তমান সরকারের প্রতি জোরদাবী জানাচ্ছি।