Sylhet 6:15 pm, Tuesday, 24 December 2024

সুনামগঞ্জ পৌরসভায় কর্মরত ১০ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর বিদায়ী সংবর্ধনা সভায় মেয়র নাদের বখত

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জ পৌরসভায় কর্মরত ১০ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর অবসরকালীন সময়ে যাওয়ায় তাদের বিদায়ী সংবর্ধনা ও সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১টায় সুনামসগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে মেয়রের কনফারেন্স রুমে সংবর্ধনা প্রদান উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কালীকৃষ্ণ পালের সভাপতিত্বে ও পৌরসভার কর আদায়কারী জ্যোতি লাল সরকার যীশুর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র নাদের বখত।

এ সময় বিদায়ী সংবর্ধিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসহাক ভূঞা,কনজারভেন্সী পরিদর্শক মতিউর রহমান,কসাইখানা পরিদর্শক আব্দুল আজিজ,উচ্চমান সহকারী মলিনা দেব,টিকাদানকারী রনজিত কুমার ঘোষ,বিদ্যুৎ মিস্ত্রী শিবু প্রসাদ দত্ত,পাম্প চালক সাবির আহমদ,নৈশপ্রহরী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ,বিদ্যুৎ লাইনম্যান নাজিম উদ্দিন মতি ও পাম্প চালক আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভায় কর্মরত হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার দাস ও নিজাম উদ্দিন সহ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেছেন,এখানে একটা সংশয় ছিল পটপরিবর্তেনের পরে পৌরসভার এই পরিবারের সদস্যরা যারা এই পৌরসভায় অনেকেই স্থায়ী এবং অস্থায়ী ভিত্তিতের চাকুরীতে কর্মরত আছেন,যিনি নতুন পৌরসভার মেয়র নির্বাাচিত হয়ে আসবেন তার ব্যবহার কেমন হবে,উনি কেমন সিদ্ধান্ত নিবেন। আমার আপন বড়ভাই এই পৌরসভার জননন্দিত সাবেক প্রয়াত মেয়র আইয়ূব বখত জগলুলের অকাল মৃত্যুতে উপ নির্বাচন করে আমি যখন পৌর নাগরিকদের ভালবাসায় প্রথম মেয়র নির্বাচিত হলাম এবং প্রথম যখন পৌরসভার তিনতলায় উঠতে গিয়ে সিড়িঁটা ব্যবহার করব তখন দেখলাম আপনারা অতি যত্নে প্রয়াত মেয়র আইয়ূব বখত জগলুলের ছবিটি সাটানো করে রেখেছেন দেখে আমার অন্তরে নাড়া দিয়েছে। প্রয়াত মেয়র আইয়ূব বখত জগলুল এক সময় আপনাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। আমিও মেয়র হওয়ার পর লক্ষ্যে করলাম এই পৌরসভার নাগরিকগণ আমার পরিবারের সদস্যদের প্রতি যে ভালবাসা বার বার দেখিয়েছেন তাই আমি একজন নির্বাচিত মেয়র হিসেবে কোন রাগ,বিরাগ ও অনুরাগের ভষিভূত হয়ে নয়, আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে সবার প্রতি সমান আচরণ করার শপথ নিলাম এবং তা দীর্ঘ প্রায় ছয়বছর ধরে এই পৌরসভার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং সকল কাউন্সিলরগণ এক পরিবারের সদস্য হিসেবে সকলের মতামত ও সমন্বিত প্রচেষ্ঠায় পৌরসভার সকল নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা,অভাব,অভিযোগ,সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন,এই পৌরসভায় যারা অস্থায়ীভাবে চাকুরীতে কর্মরত আছেন,তাদের সম্মানীটা খুবই কম,এটা আমি কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনি। একজন মেয়র ইচ্ছে করলে পারেন পৌরসভায় কর্মরত কোন অস্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীকে সরিয়ে দিতে কিন্তু আমি সেই কাজটি করিনি। কেননা এই পৌরসভায় কর্মরত সকল স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীগনের সাথে আমিও যেহেতু এই পরিবারের সদস্য হয়েছি তাহলে এই পৌরসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে তো আমার অবস্থান হওয়ার কথা নয়।

তিনি আরো বলেন,এই পৌরসভায় কর্মরত সকলের প্রচেষ্টা ও সকলের পদচিহেৃ আজকে তিলে তিলে গড়ে উঠা এই সুনামগঞ্জ পৌরসভাটি একটি জনবান্ধব পৌরসভায় পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন আমাদের সবচেয়ে বেশী যেটা প্রয়োজন এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থানটা অন্যান্য জেলার মতো ততোটা না। তবে আমরা ভাগ্যবান বলবে যে কারণে বাংলাদেশের ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে আমাদের এই সুনামগঞ্জ পৌরসভাটিতে কর্মরত কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতাটি পরিশোধে সময় কালক্ষেপন কিংবা বেতনভাতা কারো বন্ধ রয়েছে বলতে পারবেন না,আমরা সময়মতো সবার বেতনভাতা পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি সবার সহযোগিতায় এই পৌরসভাকে জনবান্ধব একটি ক্লিন পৌরসভা গড়ে তুলতে আবারো পৌর নাগরিকসহ উপস্থিত সকলে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন এই দেশটি ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে তৎকালীন সাড়ে সাতকোটি মানুষ দীর্ঘ নয়মাস মরণপণ লড়াই করে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আজকের এই বাংলাদেশটি তার সুযোগ্য উত্তরসূরী জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যায়ক্রমে সবাইকে পেনশনক্রীমের আওতায় আনতে পেনশনভাতা চালু করেছেন। তৎকালীন আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তলাবিহূন ঝুড়ির বাংলাদেশ বলে অবহেলা করেছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ এই দেশটি বিশে^ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করেছেন। কেননা শেখ মুজিব এবং শেখ হাসিনার যা পাওয়ার ছিল ১৯৭১ সালে দেশটা স্বাধীন করেছিলেন,যা হারাবার শেখ হাসিনাকে স্বপরিবারে হারাতে হয়েছিল। এখন আর শেখ হাসিনার পাবার ও কিছু নেই হারাবার ও কিছু নেই। এখন শুধু দেশের আপামর জনগনের ভাগ্য বদলানোর জন্য যা যা কিছু করার দরকার তিনি তা সবই করে যাচ্ছেন। পরিশেষে ১০জন বিদায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীদের হাতে উপহার সামগ্রী ও সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দিলেন মেয়র নাদেতর বখত। ##

কুলেন্দু শেখর দাস
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

About Author Information

Sylhet Journal

জনপ্রিয় সংবাদ

সেচ্ছাসেবক দল নেতার খোঁজ-খবর নিয়ে প্রশংসা ভাসছেন জনাব তারেক রহমান

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com

সুনামগঞ্জ পৌরসভায় কর্মরত ১০ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর বিদায়ী সংবর্ধনা সভায় মেয়র নাদের বখত

প্রকাশের সময় : 10:58:51 am, Monday, 27 May 2024

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জ পৌরসভায় কর্মরত ১০ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর অবসরকালীন সময়ে যাওয়ায় তাদের বিদায়ী সংবর্ধনা ও সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১টায় সুনামসগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে মেয়রের কনফারেন্স রুমে সংবর্ধনা প্রদান উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কালীকৃষ্ণ পালের সভাপতিত্বে ও পৌরসভার কর আদায়কারী জ্যোতি লাল সরকার যীশুর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র নাদের বখত।

এ সময় বিদায়ী সংবর্ধিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইসহাক ভূঞা,কনজারভেন্সী পরিদর্শক মতিউর রহমান,কসাইখানা পরিদর্শক আব্দুল আজিজ,উচ্চমান সহকারী মলিনা দেব,টিকাদানকারী রনজিত কুমার ঘোষ,বিদ্যুৎ মিস্ত্রী শিবু প্রসাদ দত্ত,পাম্প চালক সাবির আহমদ,নৈশপ্রহরী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ,বিদ্যুৎ লাইনম্যান নাজিম উদ্দিন মতি ও পাম্প চালক আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভায় কর্মরত হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার দাস ও নিজাম উদ্দিন সহ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেছেন,এখানে একটা সংশয় ছিল পটপরিবর্তেনের পরে পৌরসভার এই পরিবারের সদস্যরা যারা এই পৌরসভায় অনেকেই স্থায়ী এবং অস্থায়ী ভিত্তিতের চাকুরীতে কর্মরত আছেন,যিনি নতুন পৌরসভার মেয়র নির্বাাচিত হয়ে আসবেন তার ব্যবহার কেমন হবে,উনি কেমন সিদ্ধান্ত নিবেন। আমার আপন বড়ভাই এই পৌরসভার জননন্দিত সাবেক প্রয়াত মেয়র আইয়ূব বখত জগলুলের অকাল মৃত্যুতে উপ নির্বাচন করে আমি যখন পৌর নাগরিকদের ভালবাসায় প্রথম মেয়র নির্বাচিত হলাম এবং প্রথম যখন পৌরসভার তিনতলায় উঠতে গিয়ে সিড়িঁটা ব্যবহার করব তখন দেখলাম আপনারা অতি যত্নে প্রয়াত মেয়র আইয়ূব বখত জগলুলের ছবিটি সাটানো করে রেখেছেন দেখে আমার অন্তরে নাড়া দিয়েছে। প্রয়াত মেয়র আইয়ূব বখত জগলুল এক সময় আপনাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। আমিও মেয়র হওয়ার পর লক্ষ্যে করলাম এই পৌরসভার নাগরিকগণ আমার পরিবারের সদস্যদের প্রতি যে ভালবাসা বার বার দেখিয়েছেন তাই আমি একজন নির্বাচিত মেয়র হিসেবে কোন রাগ,বিরাগ ও অনুরাগের ভষিভূত হয়ে নয়, আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে সবার প্রতি সমান আচরণ করার শপথ নিলাম এবং তা দীর্ঘ প্রায় ছয়বছর ধরে এই পৌরসভার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং সকল কাউন্সিলরগণ এক পরিবারের সদস্য হিসেবে সকলের মতামত ও সমন্বিত প্রচেষ্ঠায় পৌরসভার সকল নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা,অভাব,অভিযোগ,সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন,এই পৌরসভায় যারা অস্থায়ীভাবে চাকুরীতে কর্মরত আছেন,তাদের সম্মানীটা খুবই কম,এটা আমি কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনি। একজন মেয়র ইচ্ছে করলে পারেন পৌরসভায় কর্মরত কোন অস্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীকে সরিয়ে দিতে কিন্তু আমি সেই কাজটি করিনি। কেননা এই পৌরসভায় কর্মরত সকল স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীগনের সাথে আমিও যেহেতু এই পরিবারের সদস্য হয়েছি তাহলে এই পৌরসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে তো আমার অবস্থান হওয়ার কথা নয়।

তিনি আরো বলেন,এই পৌরসভায় কর্মরত সকলের প্রচেষ্টা ও সকলের পদচিহেৃ আজকে তিলে তিলে গড়ে উঠা এই সুনামগঞ্জ পৌরসভাটি একটি জনবান্ধব পৌরসভায় পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন আমাদের সবচেয়ে বেশী যেটা প্রয়োজন এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থানটা অন্যান্য জেলার মতো ততোটা না। তবে আমরা ভাগ্যবান বলবে যে কারণে বাংলাদেশের ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে আমাদের এই সুনামগঞ্জ পৌরসভাটিতে কর্মরত কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতাটি পরিশোধে সময় কালক্ষেপন কিংবা বেতনভাতা কারো বন্ধ রয়েছে বলতে পারবেন না,আমরা সময়মতো সবার বেতনভাতা পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি সবার সহযোগিতায় এই পৌরসভাকে জনবান্ধব একটি ক্লিন পৌরসভা গড়ে তুলতে আবারো পৌর নাগরিকসহ উপস্থিত সকলে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন এই দেশটি ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে তৎকালীন সাড়ে সাতকোটি মানুষ দীর্ঘ নয়মাস মরণপণ লড়াই করে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আজকের এই বাংলাদেশটি তার সুযোগ্য উত্তরসূরী জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যায়ক্রমে সবাইকে পেনশনক্রীমের আওতায় আনতে পেনশনভাতা চালু করেছেন। তৎকালীন আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তলাবিহূন ঝুড়ির বাংলাদেশ বলে অবহেলা করেছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ এই দেশটি বিশে^ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করেছেন। কেননা শেখ মুজিব এবং শেখ হাসিনার যা পাওয়ার ছিল ১৯৭১ সালে দেশটা স্বাধীন করেছিলেন,যা হারাবার শেখ হাসিনাকে স্বপরিবারে হারাতে হয়েছিল। এখন আর শেখ হাসিনার পাবার ও কিছু নেই হারাবার ও কিছু নেই। এখন শুধু দেশের আপামর জনগনের ভাগ্য বদলানোর জন্য যা যা কিছু করার দরকার তিনি তা সবই করে যাচ্ছেন। পরিশেষে ১০জন বিদায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীদের হাতে উপহার সামগ্রী ও সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দিলেন মেয়র নাদেতর বখত। ##

কুলেন্দু শেখর দাস
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি